স্কর্চার্স একাডেমির বিপক্ষে সোহানদের আত্মসমর্পণ

বেশ বড়সড় পরাজয়। অস্ট্রেলিয়াতে নুরুল হাসান সোহানের দলের দুর্দশা পিছু ছাড়ছে না। তিন ম্যাচের দু'টোই হেরেছে বাংলাদেশ 'এ' দল।

বেশ বড়সড় পরাজয়। অস্ট্রেলিয়াতে নুরুল হাসান সোহানের দলের দুর্দশা পিছু ছাড়ছে না। তিন ম্যাচের দু’টোই হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় পাঁচ উইকেট ব্যবধানে। কন্ডিশনের পূর্ণ ফায়দাই তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দলটি।

এর আগে এই পার্থ স্কর্চার্সই পাকিস্তান শাহীনসকে অলআউট করেছিল ১১১ রানে। এরপর সেই ম্যাচ যদিওবা তাদের জিততে বেশ ধকল পোহাতে হয়েছে। দুই উইকেটের বেশ কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল পার্থ। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ততটাও কঠিন হয়নি সমীকরণ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মোটে ১২৩ রান। নয় উইকেট হারিয়ে এই রান সংগ্রহের অন্যতম কারিগর আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪৯ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। তিনি একটা প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন, কন্ডিশন মোটেও সহজ ছিল না, বল হুটহাট নিচু হয়ে গেছে- তারপরও আফিফের এমন ধীরলয়ের ইনিংস সন্তোষজনক নয়।

নেপালের বিপক্ষে তিনিই তো ২৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থেকেছিলেন। তাছাড়া এই টুর্নামেন্টের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটারদের একজন আফিফ। তার কাছ থেকে দায়িত্বশীল এবং কার্যকর ইনিংস নিশ্চয়ই প্রত্যাশিত। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণেও তিনি ব্যর্থ হলেন। ঠিক তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলার মত।

তবে এদিনের পুরো দায় তার উপরে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। উইকেটের আচরণ বাংলাদেশের কোন ব্যাটারই সেই অর্থে পড়তে পারেননি। যে কারণে দলের সংগ্রহের এমন বেহাল দশা। এত স্বল্প সংগ্রহকে রক্ষা করতে পারেননি শেষ অবধি বোলাররা। যদিও হাসান মাহমুদ, রাকিবুল হাসানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খানিকটা চাপে ফেলা গিয়েছিল পার্থ স্কর্চার্সকে।

হাসান একটি ও রাকিবুলের দুইটি উইকেটের পাশাপাশি নাঈম হাসান দুইটি উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের মৃদু সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মৃদু সম্ভাবনা বৃহৎ হওয়ার আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে পার্থ। তিন ম্যাচের দুইটি হেরে বাংলাদেশের অবস্থান এখন আট নম্বরে। সেরা চারে থাকার পথ বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে নুরুল হাসান সোহানদের জন্যে।

Share via
Copy link