ঘূর্ণিতে ঘোল খাইয়ে আফগানরা হবে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন!

গোটা ইউনিট হিসেবেই পুরো দল রয়েছে দারুণ ছন্দে। শিরোপা যদি এবার আফগানরা উঁচিয়ে ধরে, তবে তা মোটেও হবে না অঘটন। 

আফগানিস্তানের ভয়ংকর স্পিন ত্রয়ী। আর তাতেই কাবু পাকিস্তান। বিস্ময়ের ঘূর্ণিপাকে ঘুরতে ঘুরতে, মাঝারি মানের এক লক্ষ্যমাত্রাও পাকিস্তানের জন্যে হয়েছে পাহাড় সমান। আফগানিস্তান যেন এশিয়ার ক্রিকেট দলগুলোকে এক নিঃশব্দ হুঁশিয়ারি দিতে চাইল। এবার তারা এশিয়া কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার, অন্তত তাদের শরীরি ভাষা বলছে তা। আর সেই স্বপ্ন সত্যি করার অন্যতম স্তম্ভ স্পিন অ্যাটাক।

এশিয়া কাপে আফগানিস্তান যদি শিরোপা জিতে যায়, আপনি কি তবে সে ঘটনাকে অঘটন বলবেন? টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোন এক আন্তর্জাতিক শিরোপা আফগানরা জিতলে, তাকে অঘটন বলার উপায় নেই। তারা নিজেরই নিজেদের সেই জায়গাটা তৈরি করে নিয়েছেন। এবার তাই আফগানদের বিরুদ্ধে বাকি দলগুলোকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

ইব্রাহিম জাদরান নিয়মিত রান করছেন। সাথে সেদিকুল্লাহ অটলও অবশেষে নিজের সামর্থ্য ফুটিয়ে তুলছেন ব্যাটের আঁচড়ে। করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা ক্যামিও ইনিংসে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। আর অন্যদিকে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও নুর আহমেদের  স্পিন আক্রমণ বাজাচ্ছে সমরের ডঙ্কা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭০ রান ছুড়ে দিয়েছিল আফগান ব্যাটাররা। ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ অটলের হাফসেঞ্চুরিতে লড়াই করবার মত পুঁজি জমা হয়েছিল স্কোরবোর্ডে। তবে ম্যাচটাকে একেবারে তালুবন্দী করতে হলে দারুণ কিছু করা চাই। সেই কাজটাই করল আফগানদের স্পিন অ্যাটাক।

মোহাম্মদ নবী তুলে নিলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ হারিসের উইকেট। নুরের পকেটে আটক হাসান নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ। রশিদ খানের শিকার মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন জনে মিলে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার তছনছ করে দিলেন চোখের পলকে। রানের লাগাম টেনে পাকিস্তানের মাথায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিলেন সকলে মিলে।

তিন জনের সম্মিলিত খরচ ১২ ওভারে ৭০ রান। এর মধ্যে রশিদ খান ম্যাচে লাগাম পেয়ে ঢিল দিয়েছিলেন খানিকটা। অন্যদিকে ইনিংসের প্রথমেই আঘাত হেনেছেন ফজল হক ফারুকি। সাইম আইয়ুবের সাথে শাহিবজাদা ফারহান তার শিকার। এমন একটা কম্প্যাক্ট বোলিং আক্রমণ যে কোন দলের পরম আরাধ্য। তবে আফগান স্পিনাররা রীতিমত আশীর্বাদ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। আফগানদের চেনা কন্ডিশন। স্পিন বান্ধব সব উইকেট। তাও আবার টুর্নামেন্ট হবে আফগানিস্তানের পছন্দের ফরম্যাটে। গোটা ইউনিট হিসেবেই পুরো দল রয়েছে দারুণ ছন্দে। শিরোপা যদি এবার আফগানরা উঁচিয়ে ধরে, তবে তা মোটেও হবে না অঘটন।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link