আমিরাতের জন্য এই ম্যাচটা মহাগুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে যে জিততেই হবে। একে তো দলের অধিনায়ক, তার উপরে সেরা ব্যাটার, মোহাম্মদ ওয়াসিম যে আমিরাতের প্রত্যাশা মেটানোর কারিগর। তাই তো সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলেন শুরু থেকেই।
ওমানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আমিরাত। শুরুটা একটু দেখেশুনেই হলো। তবে সময় যত গড়ালো, ধীরে ধীরে রানের চাকাও চলতে থাকলো। যার শুরুটা করেছিলেন আলিসান শারাফু। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে থাকলেন, ওয়াসিম সঙ্গ দিয়ে গেলেন, সাহস হয়ে পাশে থাকলেন।

ওপেনিং জুটি থেকেই আসলো ৮৮ রান। শারাফুর বিদায়ের পর বাকি কাজটা বুঝে নেন ওয়াসিম। একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন। শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত খাতায় জমা করেন ৫৪ বলে ৬৯ রান। ছয় চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন তিন ছয়। ওমানের বোলারদের চিন্তায় রেখেছেন পুরো সময়।
১৯.৩ ওভারের মাথায় যখন রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথে ফিরছেন, ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে রান দাঁড়িয়েছে ১৭১। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একপ্রকার আগলে রেখেছেন ব্যাটিং অর্ডার।
মোহাম্মদ ওয়াসিম এক কথায় আরব আমিরাতের ব্যাটিং স্তম্ভ। ধারাবাহিকতার এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত তাঁর ব্যাট। ত্রিদেশীয় সিরিজেও সেই কাজটা করে গেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে একপ্রকার ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে বসেছিলেন।

টি-টোয়েন্টিতে দলের হয়ে ৮৪ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, নামের পাশে তিন হাজারের উপরে রান। এই পরিসংখ্যানটায় তাঁর মান যাচাইয়ের দলিল।