অধিনায়কত্বের চাপে রীতিমত বোল্ড আউট হয়ে গিয়েছিলেন জাকের আলী অনিক। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু তার এই তো ক’দিন আগেই। কিন্তু স্বল্প সময়ের পরিক্রমায়, তাকে নিয়ে সৃষ্টি হওয়া উচ্ছ্বাস পরিণত হয়েছে, সমালোচনায়। এই দায়ভার কার? অবশ্যই জাকের আলী অনিকের।
ছক্কা হাঁকানোর ক্ষমতায় তিনি বেশ দ্রুতই টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া অবধি পছন্দের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। এক সাগর সমপরিমাণ আস্থা আর প্রত্যাশার ঝুলি খুলে বসে ক্রিকেট উন্মাদনার জনস্রোত। কিন্তু ওয়ান ডাইমেনশনাল জাকের, এখন স্রেফ তিরস্কারের পাত্র। সাম্প্রতিক সময়ে তার পারফরমেন্স যার অন্যতম কারণ।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, চলতি বছরে ছক্কা হাঁকানোতে পটু বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য তিনি। এখনও তার ঝুলিতে আছে ১৮টি ছক্কা। এই বছরে তিনি পঞ্চম সেরা ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার। প্রতি ১৮ বলে একটি করে ছক্কা এসেছে জাকেরের ব্যাট থেকে। কিন্তু ওই যে আকাশচুম্বী প্রত্যাশার কারণেই তাকে এখন সহ্য করতে হচ্ছে সমালোচনাও।

সর্বশেষ পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন তিনবার। যার মধ্যে ছিল এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ। সেই দুই ম্যাচেই মূলত তিনি ছিলেন অধিনায়ক। এরপরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তার কাঁধে ছিল অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে যাওয়ার সরল সমীকরণ মেলাতেও জাকেররা হয়েছিলেন ব্যর্থ। দায়ভার তো জাকেরও পারেননা এড়াতে। ১৩৬ রানের লক্ষ্যে, জাকের সেবার আউট হয়েছিলেন ৯ বলে ৫ রান করে। অধিনায়ক হিসেবে যারপরনাই ব্যর্থ তিনি।
তাছাড়া তার লেগ সাইড নির্ভরতা, তাকে অনেকবেশি প্রেডিক্টেবল বানিয়ে ফেলেছে। তার বিরুদ্ধে বোলারদের পরিকল্পনা একেবারে সহজ। বল ছুড়তে হবে স্রেফ অফ সাইডের ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম স্ট্যাম্প চ্যানেলে। বেস, সাফল করে হলেও সেই বলকে লেগে টেনে খেলবেন জাকের। একেবারে মুখস্ত বিদ্যা।

এ কারণেই বরং তিনি হচ্ছে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ। নুরুল হাসান সোহান জাতীয় দলের সন্নিকটে চলে আসায়, জাকেরের ক্যারিয়ারে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেই হয়ত জাকের ছিটকে যেতে পারেন একাদশ থেকে। মুখস্ত বিদ্যা থেকে সরে না আসলে জাকেরের অকাল পতনও সন্নিকটে।











