মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে পরিপূর্ণ লাগাম বাংলাদেশের হাতে

পঞ্চম দিনে তাই তাইজুলের রেকর্ডই মূল আলোচ্য বিষয়। চতুর্থ দিনে যে নিজেদের জয়ের পথটা একেবারে সুগম করে রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

কালক্ষেপণ হয়েছে স্রেফ। মিরপুর টেস্টের লাগাম পুরোটাই এখন বাংলাদেশের হাতে। তাইজুল ইসলাম দাঁড়িয়ে ২৫০ উইকেটের দ্বারপ্রান্তে। পঞ্চম দিনে তাই তাইজুলের রেকর্ডই মূল আলোচ্য বিষয়। চতুর্থ দিনে যে নিজেদের জয়ের পথটা একেবারে সুগম করে রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আয়ারল্যান্ড এখনও পিছিয়ে আছে ৩৩৩ রানে, হাতে আছে তাদের মাত্র চার উইকেট।

মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল স্পষ্ট। সকালের রোদের তীব্রতায় বোলারদের বোলিংয়ে না পাঠানো। এতে করে দলের পক্ষে সংগ্রহ যতটুকু বাড়িয়ে নেওয়া যায়- তা ছিল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা বাংলাদেশ একটা পর্যায়ে অপেক্ষা করেছে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির জন্যে।

দীর্ঘ সময় ধরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছুঁয়ে দেখেননি মুমিনুল হক। ঠিক সে কারণেই বাংলাদেশ দল অপেক্ষা করেছে তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার পথটা সৃষ্টি করতে। এই সুযোগে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল মিলে গড়ে ফেলেন শতক ছাড়ানো জুটি। তাতের করে বাংলাদেশের মোট সংগ্রহ ছাড়িয়ে যায় ৫০০ রানের গণ্ডি।

তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুমিনুল আবার থমকে গেছেন ৮০ রানের ঘরে। ৮৭ রানের মাথায় তিনি ফিরেছেন সাজঘরে। ততক্ষণে মুশফিকুর রহিমও করে ফেলেছেন অর্ধশতক। তিনিও দাঁড়িয়ে ছিলেন এক অনন্য রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে। শততম টেস্টে টুইন সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটার হতে পারতেন মুশফিক। সে সুযোগটা তিনি পাননি। তা নিয়ে অবশ্য তিনি আক্ষেপ করেননি। বরং তার আক্ষেপ ছিল মুমিনুলের সেঞ্চুরি না পাওয়ায়।

সেসব ভুলে ৫০৮ রানের পাহাড়সময় সংগ্রহ নিয়ে, বাংলাদেশ দল দ্রুত জয় তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। আয়ারল্যান্ড ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে শেষ করেছে নিজেদের দিনের খেলা। চতুর্থ দিনে এসেও ততটাও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠেনি মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিং করা। তবুও ছিল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।

তবে আয়ারল্যান্ড সেই অর্থে লড়াইটা চালাতে পারেনি। ৫০৯ রানের লক্ষ্যমাত্রার মানসিক চাপে তারা যেন আগেভাগেই নুইয়ে পড়েছিল। তাইতো প্রতিরোধ কিংবা পালটা আক্রমণ, কোন কিছুতেই দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি আইরিশ ব্যাটাররা। টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই হয়ে যেতে পারে মিরপুর টেস্টের দফা-রফা।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link