ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ভারতের পূর্ণাঙ্গ দল ঘোষণা করা হয়েছে। অফফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন শুবমান গিল। তবে অধিনায়কত্বের দোহায় দিয়ে ঠিকই টিকে গেছেন সুরিয়াকুমার যাদব। কিন্তু সেই অধিনায়কত্বের মেয়াদ হয়তো কেবল বিশ্বকাপ অবধিই।
ওয়ানড ও টেস্ট ভারত দলের অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব শুবমান গিলের কাঁধে থাকলেও রোহিত পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পেয়েছে সুরিয়া। কিন্তু সেই অধিনায়কত্ব কেবল ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যেই। কেননা, তাঁর বয়সটা প্রায় ৩৫ ছুঁইছুঁই। সেক্ষেত্রে সুরিয়া যদি ভারতকে বিশ্বকাপও এনে দেন, তবুও বিশ্বকাপ শেষে পরবর্তী বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে নতুন পরিকল্পনা সাজাবে ভারত।
গিলকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই সঞ্জু-অভিষেক-জয়সওয়াল থাকতেও তাঁকে টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সেক্ষেত্রে নতুন কাউকে হয়তো ভারতের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব স্বরূপ ভাবা হবে।

গুঞ্জন উঠেছে বিশ্বকাপের আগ মুহুর্তে দলের ছন্দ যাতে নষ্ট না হয় সেইজন্যই সুরিয়াকে বাদ দেওয়া হয় নি। গিলের মতোই রান খরায় ভুগছেন সুরিয়াও। তবে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তাকে অবশ্য এ বিষয়ে চিন্তিত থাকতে দেখা যায় নি।
তিনি আশাবাদী যে তিনি অতি শীঘ্রই রানে ফিরবেন। সুরিয়ার নেতৃত্বেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। তাঁর ব্যাট থেকে ঝলমলে ইনিংস দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকবে ভারতীয় সমর্থকরা।
বিশ্বকাপে ভারতকে সাফল্য এনে দিতে পারলে এবং নিজে ফর্মে ফিরলে হয়তো বিশ্বকাপের পরেও দলে টিকে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বের অন্যতম দক্ষ এই ব্যাটার। তবে অধিনায়কত্বের মেয়াদ থাকছে ঐ বিশ্বকাপ অবধিই।











