ব্যাটে-বলে যেখানেই দরকার সেখানেই আছেন শেখ মেহেদী। ভাঙাচোরা এক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকেই। সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েই ছুটছেন তিনি। বিতর্কের চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা দলের অধিনায়ক হিসেবে যা করার দরকার ছিল সেটাই করলেন।
ম্যাচের দুই দিন আগে হাত বদল হলো চট্টগ্রামের মালিকানার। স্পন্সর নেই, চারদিকে সমালোচনা, সবকিছু যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল দলকে। তবে এর মাঝেই আশার আলো দেখালেন মেহেদী।

চট্টগ্রাম যখন ব্যাটিংয়ে, একটা সময় পর রান আসছিল ধীরগতিতে। সেট হওয়া মির্জা তাহির বেগ অ্যাঙ্করিং রোল প্লে করছিলেন তখন। রানের একটা গতি দরকার, বুঝে গেলেন মেহেদী। নিজেই নিলেন সেই দায়িত্ব। উইকেটে এসেই চড়াও হলেন বোলারদের ওপর। ১৩ বলে ২৬ রানের এক কুইক-ফায়ার ইনিংস খেললেন। দলের দাবি মিটিয়ে তবেই সাজঘরে ফিরলেন।
কাজটা তখনও বাকি। দলের যে জয় পেতে হবে। এবার অবদান রাখলেন বল হাতে। কিপ্টে বোলিংয়ের জন্য মেহেদী সেরা অস্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দিতে সিদ্ধহস্ত। করলেনও তাই, সাব্বির হোসেন আর জাকের আলীকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই ছেঁটে ফেললেন। নোয়াখালীর রানের লাগামটা ধরে রাখলেন নিজের হাতে।

চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন, উইকেট শিকার করেছেন দুটি। সবখানেই নিজের ছাপ রেখে গেছেন তিনি। নিজের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটাও যে সামলেছেন দারুণভাবে। বোলারদের ঠিকঠাক ব্যবহার করা, সেরাটা বের করে আনা, সবকিছুতেই পাবেন একেবারে ফুল মার্কস। এক কথায়, ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট।











