‘ব্রিলিয়ান্ট! ব্রিলিয়ান্ট স্পেল’- নিজের ওভার শেষ করে যখন আম্পায়ারের কাছ থেকে ক্যাপ নিচ্ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম, সেই মুহূর্তে ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে আতাহার আলী খান প্রশংসার সংক্ষিপ্ত শব্দগুচ্ছে বর্ণনা করলে ইমাদের বোলিং। ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে দূর্দান্ত বোলিং প্রদর্শন করে গেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৯১ রানের লক্ষ্য টপকে ম্যাচ জিতেছিল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। এমন দলের বিপক্ষে ঢাকার প্রথম ম্যাচ। একেবারে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। সেই ভাবনা থেকে ইমাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। প্রত্যাশা পূরণের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাননি ইমাদ।

একেবারে ইনিংসের প্রথম বলেই রাজশাহীর ব্যাটিং দূর্গে আঘাত হানেন বা-হাতি স্পিনার। স্বদেশী শাহিবজাদা ফারহানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান ইমাদ। তার বল মোকাবেলা করতে গিয়ে ব্যালেন্স বিগড়ে যায় ফারহানের, অগ্যতা স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। এরপর মিডল অর্ডারে নামা ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।
ইনিংস বিল্ডআপের কাজ করতে থাকা ইয়াসির ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। দুই উইকেট প্রাপ্তিতেই সন্তুষ্ট হননি তিনি। দ্বাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। রাজশাহীর অধিনায়কের উইকেটটিও তুলে নিয়েছেন ইমাদ। ব্যক্তিগত চার ওভারে তিন উইকেট পকেটে পুরেছেন। খরচা করেছেন মাত্র ১৬টি রান।

উইকেট তুলে নিয়ে তিনি যেমন চাপ বাড়িয়েছেন রাজশাহী শিবিরে, ঠিক তেমনি রানের লাগাম টেনে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমদের। দারুণ এক জয়ের মোমেন্টাম নিয়ে খেলতে নামা দলকে এতটা চাপে ফেলে মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়। সে কারণেই তো ধারভাষ্যকক্ষ থেকে প্রশংসার কুড়িয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।











