টি-টোয়েন্টিতে সাড়ে সাত হাজারের বেশি রান করা সাকিব আল হাসানকে এমআই এমিরেটস ব্যাটিংয়ে নামিয়েছে আট নম্বরে। অথচ ৬ নম্বরে নামা ড্যান মুসলে করেছেন ১১ বলে মাত্র সাত রান? তবে কি সাকিব বোলিং অলরাউন্ডার? সেখানেও যে তাঁকে দেওয়া হয়েছে এক ওভার। ৫০০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি উইকেটের মালিক বল পেয়েছেন এক ওভার, ভাবা যায়? দিনশেষে যা হওয়ার তাই হয়েছে, ডেজার্ট ভাইপার্স ২৩৩ রানের পাহাড় গড়েছে, আর এমিরেটসকে হারতে হয়েছে ৪৫ রানের ব্যবধানে।
বল দিয়েই শুরুটা করা যাক। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরই সাকিবকে বল হাতে তুলে দেওয়া হয়। একটা চার হজম করেন, সব মিলিয়ে খরচা করেন ১০ রান। উইকেটের দেখা তিনি পাননি। এরপর সময় গিয়েছে, অন্যান্য বোলাররা বেধড়ক পিটুনিই খেয়েছেন, তবুও বল হাতে আর সাকিবকে ফেরানো হয়নি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, সাকিবকে কেন উপেক্ষা করা হলো। অথচ রোমারিও শেফার্ড, জাহুর খানরা বল করেছেন ৩ ওভার, ৪ ওভার। পরিকল্পনাহীন বোলিং করানোর খেসারত তাই দিতে হয়েছে এমিরেটসকে।

বোলিংয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি সাকিব। ব্যাট হাতে তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে এখানেও যে তাঁকে উপেক্ষা করা হলো। ২৩৪ রানের পাহাড়সম টার্গেট টপকাতে গিয়ে আনাড়ি ব্যাটারদের আগে পাঠানো হলো ঠিকই, তবুও সাকিবকে আনা হলো আট নম্বরে। ২৮ বলে তখন দরকার ৯৯ রান। সাকিব এসেই বাউন্ডারি হাঁকান। সাকিব সাজঘরে ফেরেন ছয় বলে আট রান করে। এই ম্যাচ যে আরও আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
দিনশেষে তাই সাকিবের সঙ্গী হলো পরাজয়। বিগত তিন ম্যাচে তাঁর অপ্রতিরোধ্য বোলিং কাজে লাগানো হলো না। ব্যাট হাতে অভিজ্ঞতার দামটাও দেওয়া হলো না। যদিও আরও একটা ম্যাচ বাকি আছে, সেখানে জিতলেই যে ফাইনাল টিকিট পাবে সাকিবের দল। আর সাকিবই নিশ্চয় সুযোগ পেলে উপেক্ষার জবাব দিতে চাইবেন।












