এই সময়ে ভারতের অন্যতম সেরা পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। নতুন, পুরোনো দুই বলেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন এই বোলার। বিশেষ করে তাঁর দুইদিকে বল স্যুইং করাতে পারার ক্ষমতা তাঁকে করেছে অনন্য। এছাড়া ডেথ ওভারে ইয়র্কার, নাকল ও স্লোয়ার ডেলিভারিতেও হাপিয়ে তুলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে।
সম্প্রতি প্লে ফিল্ড নামক একটি ম্যাগাজিনে একটি কলাম লিখেছেন ইরফান পাঠান। সেখানে ভুবনেশ্বরকে নিয়েও লিখেছেন ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার। স্যুইং ও পেসের পার্থক্য বোঝাতে ভুবনেশ্বর ও শোয়েব আখতারের তূলনা করেন তিনি। পাঠান সেখানে পেস ও স্যুইং দুটিরই আলাদা গুরুত্বে কথা তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন অনেক বেশি গতির বল খেলা যেমন কঠিন তেমনি বলের মুভমেন্ট হলে সেটি খেলাও ভীষণ কঠিন।
এক্ষেত্রে ভুবনেশ্বর ও শোয়েব আখতারকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন ইরফান পাঠান। শোয়েব আখতাম ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বোলারদের একজন। বিশেষ করে তিনি যখন খেলতেন তখন এমন টানা কেউ এত জোরে বল করে যেতে পারত না। শোয়েব আখতারের আগে পরেও এত দ্রুত গতির বোলার ক্রিকেট বিশ্ব তেমন দেখেনি।
ইরফান ওই ম্যাগাজিনে লিখেন, ‘শুধু গতিদানব হওয়ার পিছনে ছুটলে আপনি কিছুই হতে পারবেন না। ভুবনেশ্বর চাইলেই শোয়েব আখতার হয়ে যেতে পারবে না। আপনি তখনা আপনার স্যুইং হারিয়ে ফেলবেন এবং ওরকম পেসেও বল করতে পারবেন না যেটায় ব্যাটসম্যান ভড়কে যাবে।’
ইরফানের মতে তরুণ বোলারদের কিছু গতি বাড়ানোর জন্য স্যুইং এর সাথে কম্প্রোমাইজ করা উচিত না। উঠতি পেসারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার পরামর্শ থাকবে যারা বল স্যুইং করাতে পারে তাঁরা যেনো একটু পেস বাড়ানোর জন্য তাঁদের স্যুইং টা হারিয়ে না ফেলে। স্যুইং বোলারদের স্পিড কিছুটা কম হবেই। ওটাকে সম্মান করতে হবে।’
পাঠানের মতে স্কিল যোগ করা অবশ্যই জরুরি তবে সেটা নিজের বিশেষত্ব বাদ দিয়ে নয়। এই বিষয়ে পাঠান আরো লিখেন, ‘একজন স্যুইং বোলার সাধারনত ১৩০-১৩৫ গতিতে বল করে থাকে। এই গতিতে বল করলেই সে তাঁর সর্বোচ্চ স্যুইং পাবে। এছাড়া সে যদি ইয়োর্কার, স্লোয়ার ঠিকঠাক করতে পারে তাহলেই যথেষ্ট। আমার মনে হয় এতেই সে বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনে ভালো করতে পারবে।’
এখানে ভুবনেশ্বরকে উদাহরণ হিসেবে তিনি আরো যোগ করেন, ‘ভুবিকেই উদাহরণ হিসেবে নেয়া যাক। সে খুব দ্রুত গতির বোলার না তবে সে যখন বল স্যুইং করায় তখন সে অসাধারণ। এছাড়া সে ডেথ ওভারেও বোলিং করে যাচ্ছে। কেননা পুরান বলে সে নাকুল, ইয়োর্কার, স্লোয়ার এগুলোর ব্যবহার করতে পারে।’
সবমিলিয়ে ইরফান পাঠান বলতে চেয়েছেন গতি ও স্যুইং দুটোরই গুরুত্বের কথা। তরুণ ক্রিকেটাররা যেনো তাঁদের শক্তির জায়গায় ভরসা রাখে সেটাই বলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।