একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম জয় পেয়েছেন মুমিনুল হকও। অনেক প্রাপ্তির এই ম্যাচেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাই এমন জয়ে স্বস্তি পেলেও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের বিদায়ে মন খারাপ মুমিনুল হকের।
ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর জন্যই জিততে চেয়েছেন তারা, ‘আমরা চেষ্টা করছি ওনার জন্য শেষ ম্যাচটা জিততে। উনি অভিষেক ম্যাচেও জিতেছিল। এ বিষয়ে কোন কিছু বলা কঠিন। তরুণ অধিনায়ক হিসাবে আমার অবশ্যই খারাপ লাগার কথা। খারাপ না লাগাটাই অস্বাভাবিক।’
এই ম্যাচে নয় ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সাত ব্যাটসম্যানের সাথে চার বোলার খেলানোর সমালোচনা হয়েছিল প্রবল ভাবে। মুমিনুল জানিয়েছেন কন্ডিশন কঠিন হওয়ার কারণেই বেশি ব্যাটসম্যান খেলিয়েছেন তারা। যেনো বিপর্যয়ে পড়লে বের হয়ে যেতে পারেন। মুমিনুল খুশি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছিল এই কন্ডিশনে আটটা ব্যাটসম্যানই ভালো হবে। দেখেন যে সাকিব ভাই আছে সাকিব ভাই না থাকলে কম্বিনেশনটা কঠিন ছিলো। উইকেট দেখে মনে হয়েছিল এই কন্ডিশনে প্রথম দিন আমরা স্ট্রাগল করতে পারি। যেহেতু লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ তাই বের হয়ে যেতে পারবো। আমরা বের হতে পারছি।’
বাংলাদেশের জয়ে ফেরার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে সেঞ্চুরি করেছেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই তিন জন ছাড়াও দলের জয়ে অবদান রেখেছেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ব্যাটে বলে উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন আহমেদ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
মুমিনুল জানিয়েছেন টেস্ট চ্যাম্পিনশীপ শুরু হওয়ার আগে এমন পারফরম্যান্স সবাইকে আত্মবিশ্বাস দেবে। এখন সবাই বুঝতে পারবে দলে কার কাজটা কি। টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন এবার টেস্টে বড় কোন পরিকল্পনা না ছোট ছোট পরিকল্পনা করে চ্যাম্পিনশিপে সফল হতে চান তারা।
তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিনশিপ শুরু হওয়ার আগে এই ম্যাচটা সবাইকে আত্মবিশ্বাস দেবে। কার কি রোল সবাই বুঝতে পারবে। অবশ্যই পরিকল্পনা তো আছেই। ছোট ছোট পরিকল্পনা যেটা আগের টেস্টে করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করি করার জন্য। ছোট ছোট প্রসেস গুলো উন্নতি করার চেষ্টা করি। কখনো হয়, কখনো হয়না। এই টেস্টে হয়েছে। বড় পরিকল্পনা না করে ছোট প্রসেস গুলো যেনো ঠিক করতে পারি।’