দীর্ঘ দিন ধরেই রান ছিল না সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব জায়গাতেই সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। অবশেষে ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। আজ ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলার পর সাকিব জানিয়েছেন মানসিকতার পরিবর্তন করেই সফল হয়েছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে একটি হাফ সেঞ্চুরি করার পর সাকিব ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ও চলতি সফরে জিম্বাবুয়ের সাথে আগের ম্যাচ দুটোতে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই মনোযোগ হারিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিতে দেখা গেছে তাঁকে।
আজ রানে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন তাঁর ব্যাটিংয়ে টেকনিক্যাল কোন সমস্য ছিলো না। মানসিক সমস্য ছিলো বেশি। আজ ম্যাচের আগে সেটিও পরিবর্তন করেন তিনি। সাকিব জানিয়েছেন এটা ধরা রাখতে পারলে নিয়মিত রান করাও সম্ভব।
সাকিব বলেন, ‘পরিশ্রম তো করতেই হয়। কিন্তু মেন্টাল মাইন্ডসেটটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আমি অনেক বেশি চিন্তা করছিলাম। এই ম্যাচের আগে যা পরিবর্তন করেছি। কিছু কিছু জিনিস এই ম্যাচের আগে আমাকে হেল্প করেছে ফোকাস রাখতে। চেষ্টা করবো এই ফোকাসটা যেন ধরে রাখতে পারি। এতো দিন খেলার পরে আসলে খুব বেশি টেকনিক্যাল সমস্য হয়না। মানসিক সমস্যটাই বেশি হয়। তো এখানে যদি নিজের সাথে নিজে জিততে পারি নিয়মিত রান করা সম্ভব।’
দলের বিপর্যয়ে ১০৯ বলে ৯৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ৫৫ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার।
নিজের রানে ফেরা ও দলের জয় নিশ্চিত করা দুটোতেই তাই খুশি সাকিব। তার কাছে কোনটাই কম নয়, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যেহেতু দলের জেতার জন্য খুব অবদান রেখেছে সেই দিক থেকে খুব খুশি। কোনটার থেকে কোনটাই কম না। আমি চেষ্টা করি সব সময় দলের জন্য খেলতে। তো দুটোই করতে পেরে আমি খুব খুশি।’
১৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আফিফ হোসেনের সাথে ২৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় একটু সামাল দেন সাকিব। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিল ম্যাচটা যতোটা সম্ভব ক্লোজ করা।
তিনি বলেন, ‘যখন আফিফের সাথে ব্যাটিং করছিলাম একটা কথায় বলছিলাম আমরা যদি ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি তাহলে বুঝতে পারবো কোথায় আছি। ১৫-২০ রান দুই তিন ওভারেও করা সম্ভব। সব সময় লক্ষ্য ছিল খেলা যতোটা ক্লোজ করতে পারি।’