স্থগিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুটি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আয়োজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একমত হয়েছে ২০২২ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সিরিজটি আয়োজন করার বিষয়ে।
বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের এই সিরিজটি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ সময় ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সফরটি স্থগিত করা হয়েছে। এরপরই দুই বোর্ড আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সিরিজের নতুন সময়সূচি ঠিক করার জন্য।
ক্রিকেটভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্য মতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হবে নভেম্বরে। বিশ্বকাপের পর দুই দলেরই সিরিজ থাকলেও তারা একটা ফাঁকা সময় বের করতে আলোচনা করছেন। কারণ ওয়ানডে সিরিজটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ানডে সিরিজটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। ইসিবিও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে সিরিজটি আয়োজন করা হতে পারে। তবে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর নিয়ে এখনো কোন অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ও আইপিএলের পরে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস আগে জানিয়েছিলেন আইপিএলের জন্য তাদের কোন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবেন না। ভারতের সাথে ১৪ সেপ্টেম্বর টেস্ট সিরিজ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলতে চাওয়াতেই সব পরিকল্পনাতে পরিবর্তন এনেছেন তারা।
জাইলস বলেছিলেন, ‘আমাদের একটি পূর্ণ সময়সূচি আছে। আমরা সেপ্টেম্বরে ভারত সিরিজ শেষে ১৯-২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হব। টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেখানেই হোক পাকিস্তান সিরিজ সহ আমাদের একটি সম্পূর্ণ সময়সূচি রয়েছে। আমাদের এই ছেলেদের কিছু সময় বিরতি দিতে হবে। কিন্তু ছেলেদের তাদের বিরতিতে অন্য কোথাও গিয়ে ক্রিকেট খেলতে দেওয়া হবে না।’
আইপিএলের বাকি অংশে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের পেতে বেশ কিছু দিন হলোই ইসিবির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। দুই বোর্ডের আলোচনা সফল হওয়ার কারণেই আইপিএলের বাকি অংশে খেলার সুযোগ পাবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
গত মের চার তারিখে স্থগিত ঘোষণা করা হয় আইপিএলের ১৪ তম আসর। এরপর গত ২৯ মে বিসিসিআই সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাকি অংশ আয়োজনের সিদ্বান্ত নেয়। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করা হবে আইপিএলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাত ও ওমানের মাঠে।
বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হওয়ার কারণে আইপিএলে খেলার সুযোগ পাবেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানও। যদিও এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু শোনা যায়নি। স্থগিত হওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব ও রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে দেখা গেছে মুস্তাফিজকে।