সিরিজ পেছাল ১৮ মাস!

বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের এই সিরিজটি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ সময় ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।

স্থগিত হয়ে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে আলোচনা করেই নতুন সূচি প্রকাশ করেছে ইসিবি।

বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের এই সিরিজটি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ সময় ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ ক্রিকেটার স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।

আইপিএলের বাকি অংশে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের পেতে বেশ কিছু দিন হলোই ইসিবির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। দুই বোর্ডের আলোচনা সফল হওয়ার কারণেই আইপিএলের বাকি অংশে খেলার সুযোগ পাবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।

গত মের চার তারিখে স্থগিত ঘোষণা করা হয় আইপিএলের ১৪ তম আসর। এরপর গত ২৯ মে বিসিসিআই সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাকি অংশ আয়োজনের সিদ্বান্ত নেয়। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করা হবে আইপিএলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাত ও ওমানের মাঠে।

তবে সেপ্টেম্বরে আইপিএল হলেও বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজটি যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস আগে জানিয়েছিলেন আইপিএলের জন্য তাদের কোন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবেন না। ভারতের সাথে ১৪ সেপ্টেম্বর টেস্ট সিরিজ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ইংল্যান্ডের।

কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলতে চাওয়াতেই সব পরিকল্পনাতে পরিবর্তন এনেছেন তারা। তবে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর নিয়ে এখনো কোন অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ও আইপিএলের পরে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হওয়ার কারণে আইপিএলে খেলার সুযোগ পাবেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানও। যদিও এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু শোনা যায়নি। স্থগিত হওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব ও রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে দেখা গেছে মুস্তাফিজকে।

আইপিএলের এবারের আসরে ৭ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন মুস্তাফিজুর। আর সাকিব আল হাসান ৩ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৩৮ রান ও বল হাতে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম সেরা পারফরমারও ছিলেন মুস্তাফিজ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...