রাচিন রবীন্দ্র। ২০১৬ সালে একবার, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলতে। এবার এসেছেন জাতীয় দলের হয়ে। নামেই অনেকটা বোঝা যায়, রবীন্দ্রর শেকড় উপমহাদেশে। তার বাবা-মা, দুজনই ভারতীয়।
বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তিও ছিলেন ক্রিকেটার। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন জাভাগাল শ্রীনাথের মতো তারকার সঙ্গে। ব্যাঙ্গালুরুর অনেক ক্রিকেট তারকাই রবির বন্ধু। তবে ক্রিকেটে তিনি বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাই মন দেন সফটওয়ার সিস্টেম আর্কিটেক্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায়।
আরো পড়ুন
- রাহুল দ্রাবিড় + শচীন টেন্ডুলকার = রাচিন রবীন্দ্র!
- নিউজিল্যান্ডের ‘ভিন্ন’ পরিকল্পনা
- কেন উইলিয়ামসন: মানুষ/ক্রিকেটার ও জনপ্রিয়তা
- পুলিশম্যান থেকে ক্রিকেটের ‘বন্ড’
- হংকং টু নিউজিল্যান্ড; ভায়া চট্টগ্রাম
সেই ক্যারিয়ারই রবিকে নিয়ে যায় ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায়। নানা দেশ ঘুরে শেষে তিনি থিতু হন নিউজিল্যান্ডে। ১৯৯৯ সালে রবীন্দ্রর জন্ম সেখানেই, ওয়েলিংটনে।
ওয়েলিংটনের ক্রিকেট কাঠামোয় বেড়ে ওঠা রবীন্দ্র নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০১৬ যুব বিশ্বকাপ খেলতে আসেন বাংলাদেশে। মূলত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, যিনি বাঁহাতি স্পিনও বেশ ভালো করেন। তবে ওই বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি ব্যাটিংয়ে। নিউ জিল্যান্ডের উইকেটে বেড়ে ওঠে বাংলাদেশের উইকেটে সুবিধা করতে পারেননি মোটেও। বল হাতে অবশ্য সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন।
দারুণভাবে নজর কাড়েন তিনি ২০১৮ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে তিনি ২৩৩ রান করার পাশাপাশি উইকেট নেন ১৩ টি।
ওই বছর ওয়েলিংটনের চুক্তিও পেয়ে যান। পারফর্ম করেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সুযোগ মেলে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলে। গত মৌসুমে কিউইদের ‘এ’ দলের হয়েও তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে উপহার দেন দুটি সেঞ্চুরি। ভালো করেন পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষেও। এরপর একটু ছন্দপতন কাঁধের চোটে। সেই চোট কাটিয়ে দুই মাস পর মাঠে নেমেই ঘরোয়া প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি, পরের ম্যাচে উইকেট নেন ছয়টি।
এগিয়ে চলার ধারাবাহিকতায় গত জুনের ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট দল ও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের নিউ জিল্যান্ড দলে জায়গা পেয়ে যান তিনি। ম্যাচ খেলার যদিও সুযোগ হয়নি।
এবার সুযোগ হবে নিশ্চিতভাবেই। বাংলাদেশ সফরর দলে তাদের স্পেশালিস্ট স্পিনার আছেন কেবল এজাজ প্যাটেল। সঙ্গে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র ও কোল ম্যাকনকি। রবীন্দ্রকে নিয়ে একটি বড় সুবিধা, মূলত ওপেনার হলেও ব্যাট করতে পারেন মিডল অর্ডারে যে কোনো জায়গায়।
তাই রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও না খেললেও রবীন্দ্র অবশ্যই খেলবেন।