নেতৃত্বহীন প্রমানিত নেতা

আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো সাধারণত বিদেশি ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্ব দিতে চায়না। তাঁরা ভারতের ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের দেশকে নেতৃত্ব দেয়া অনেক ক্রিকেটারই আইপিএলে কখনো অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাননি। সেইসব ক্রিকেটারদের নিয়েই এই তালিকা।

এই সময়ে এসে আইপিএল খেলা মোটামুটি প্রতিটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক বড় বড় তারকা আইপিএল খেলছেন নিয়মিত। তবে তাঁদের থেকে খুব কম ক্রিকেটারেরই সুযোগ হয় আইপিএলের কোন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অধিনায়কত্ব করা।

আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো সাধারণত বিদেশি ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্ব দিতে চায়না। তাঁরা ভারতের ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের দেশকে নেতৃত্ব দেয়া অনেক ক্রিকেটারই আইপিএলে কখনো অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাননি। সেইসব ক্রিকেটারদের নিয়েই এই তালিকা।

  • ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানদের একজন ক্রিস গেইল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হট কেক ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যন। তাঁর ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং এর জন্য প্রতিটি  দলই তাঁকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে। আইপিএলে খেলেছেন বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও পাঞ্জাবের হয়ে।

তবে এই লিগে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৭ টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ৭ টি তে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি।

  • এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আইপিএলের আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স। আইপিএলে পার‍্য ২০০ এর মত ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। তবে এখনো একটি ম্যাচেও আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন এই ক্রিকেটার। দেশটিকে ১৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর মধ্যে জয় পেয়েছেন ৮ টি ম্যাচে। ফলে আমাদের এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন এই প্রোটিয়া অধিনায়কও।

  • সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসান। আইপিএলেও খেলছেন দীর্ঘদিন ধরে। ব্যাট-বল দুই ডিপার্টমেন্টেই দারুণ সব কীর্তি গড়েছেন এই ক্রিকেটার। তবে তিনিও কখনো আইপিএলে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাননি।

যদিও বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করেছেন এই অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোট ২১ টি ম্যাচে। সেখানে জয় পেয়েছেন ৭ টি ম্যাচে। এবার অবশ্য কলকাতাকে নেতৃত্ব দেয়ার একটা গুঞ্জন শোনা গেলেও তা পরে আর হয়নি।

  • লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলারদের একজন লাসিথ মালিঙ্গা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। আইপিএলের ইতিহাসেও সফলতম বোলারদের একজন ছিলেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন লম্বা সময়।

শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্বও দিয়েছেন কিংবদন্তি এই পেসার। তাঁর নেতৃত্বে মোট ২৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলঙ্কা। তাঁর মধ্যে জয় পেয়েছিলেন ৭ টি ম্যাচে। তবে মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে কখনো অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাননি তিনি।

  • ফাফ ডু প্লেসিস ( দক্ষিণ আফ্রিকা)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সফল অধিনায়কদের একজন ফাফ ডু প্লেসিস। ডান হাতি এই ব্যাটসম্যন প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মোট ৩৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। এরমধ্যে ২৩ টিতেই জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি।

তবে আইপিএল কখনো তাঁর নেতৃত্বকে ব্যবহার করেনি। আফিএলে ব্যাট হাতে দারুণ সব ইনিংস খেললেও এখনো অধিনায়কত্ব করেননি কোন ম্যাচেই। বলা হয় ধোনি বিদায় নিলে ফাফকে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব দেয়া হতে পারে। আপাতত সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে ফাফকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...