ক্যাচ মিসে ম্যাচ হার

সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ সূচনা করল শ্রীলঙ্কার। ক্যাস মিসের মহড়ায় আধিপত্য বিস্তার করেও ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল।

১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই কুশল পেরেরাকে ফেরান নাসুম আহমেদ। এরপর আসালঙ্কার ঝড়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৪ রান তুলে ম্যাচে ফেরে লঙ্কানরা। ৭ ওভারেই দলের রান যখন ৭০ ব্যাকফুটে তখন বাংলাদেশ। উড়তে থাকা লঙ্কানদের মাটিতে নামান সাকিব।

এক ওভারে তুলে নেন পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দোকে! দু’জনকেই বোল্ড করেন সাকিব। পরের ওভারেই সাইফউদ্দিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা! ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন লঙ্কানরা। ১০ ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮০ রান।

এরপরই লিটনের ক্যাচ মিসে ম্যাচের চিত্র হঠাৎ পালটে যায়। আসালঙ্কা, রাজাপাকশের ব্যাটিং দাপটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এর মাঝেই আবারো ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন লিটন। দুই লঙ্কান ব্যাটারের ঝড়ে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় লঙ্কানরা। দুই ব্যাটারই তুলে নেন অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি। শেষদিকে রাজাপাকশে আউট হলেও আসালাঙ্কার ব্যাটে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। আসালঙ্কা ৪৯ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন!

এর আগে শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু পায় দুই বাংলাদেশী ওপেনার। নাইম শেখ ও লিটন দাসের ব্যাটে ৪০ রান আসে ওপেনিংয়ে। এরপরই লাহিরু কুমারার আঘাতে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন লিটন। দাপুটে শুরু পেলেও দুই বাউন্ডারির পর বোল্ডের শিকার হয়ে সাকিব ফেরেন ৭ বলে ১০ রানে! ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।

তৃতীয় উইকেটে নাইম শেখের সাথে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। একপ্রান্তে থিতু হয়ে স্ট্রাইট রোটেট করে এগিয়ে যান নাইম। আরেকদিকে কিছুটা দ্রুত গতিতেই রান তুলতে থাকেন মুশফিক। একপ্রান্তে দারুন ব্যাটিং করে ৪৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটির দেখা পান নাইম। এরপর মুশফিক ঝড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ৫২ বলে ৬২ রান করে বিদায় নেন নাইম শেখ।

এরপর আফিফ দ্রুত ফিরলে মুশফিক-রিয়াদের ব্যাটে দারুন ফিনিশিং পায় বাংলাদেশ। মুশফিক তুলে নেন দাপুটে এক হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শেষ ৭ ওভারে ৮৪ রান তুলে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দলের পক্ষে মুশফিক ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। রিয়াদ খেলেন ৫ বলে ১০ রানের ক্যামিও!

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১৭১/৪ (২০ ওভার); মুশফিক ৫৭(৩৭)*, নাইম শেখ ৬২(৫২), লিটন ১৬(১৬); লাহিরু কুমারা ৪-০-২৯-১, চামিকা করুনারত্নে ৩-০-১২-১

শ্রীলঙ্কা – ১৭২/৫ (১৮.৫ ওভার); আসালাঙ্কা ৮০(৪৯)*, রাজাপাকশা ৫৩(৩১); সাকিব ৩-০-১৭-২, নাসুম ২.৫-০-২৯-২

ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: চারিথ আসালাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link