মাঠে পারফরম্যান্স নেই, দলে জায়গা হারিয়েছেন। মাঠের বাইরেও শান্তি নেই। এটুকু বললেই হার্দিক পান্ডিয়ার বর্তমান সংকটটা পুরো বলা হয়ে যায়। এবার তিনি নতুন এক বিপদে পড়েছেন। আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পথে বিমানবন্দরে এবার তাঁর কোটি রুপি দামের একাধিক ঘড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস বিভাগ।
বিশ্বকাপ শেষে আরব আমিরাতে ছুটি কাটিয়ে ফেরার পথে আনা পান্ডিয়ার দু’টি ঘড়ি আটকে গেছে বিমানবন্দরে। কারণ তিনি এই ঘড়ি দু’টির কথা আগে থেকে জানাননি, এমনকি সেই ঘড়ি দু’টির কোনো রশিদও তাঁর কাছে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটে গেল রোববার। আর এই ঘটনার ফলে, কাস্টমস বিভাগের মনে অনেক রকম সন্দেহ ঘণিভূত হচ্ছে।
ঘড়ি দু’টির মূল্য ভারতীয় মূল্যমানে প্রায় পাঁচ কোটি রুপি। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পান্ডিয়া দাবি করেছেন, ঘড়িগুলোর মোট মূল্য এক কোটি আশি লাখ রুপি (একটি এক কোটি ৪০ লাখ, অপরটি শুধু ৪০ লাখ)।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি সূত্রের মতে, পান্ডিয়া অবশ্য আরো দাবি করেছেন, বিশ্বকাপ সফরে যাওয়ার আগেই তিনি ঘড়ি দু’টো কিনেছেন। যদিও, এর জন্য তিনি যে ক্রয়ের ইনভয়েজ দেখিয়েছেন, তাঁর সাথে ঘড়ি দু’টির সিরিয়াল নাম্বারের কোনো মিল নেই। আর এসব ঘড়ির ক্ষেত্রৈ ৩৮ শতাংশ ডিউটি ট্যাক্স দিতে হয়। হার্দিক পান্ডিয়া যদি ঘড়ি দু’টির মালিকানা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন – তাহলে ঘড়ি দু’টি আটক করে রাখা হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পান্ডিয়া দাবি করেন, তিনি দুবাই গিয়ে ঘড়িগুলো কিনেন। আর এর জন্য মুম্বাই বিমানবন্দরে যা ডিউটি ফ্রি প্রয়োজন হয় – সেটা তিনি দিতে প্রস্তুত। তবে, তাঁর কথায় আপাতত চিড়ে ভিজছে না।
ঘড়ির নেশা হার্দিক পান্ডিয়ার আজকের নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে যারা অনুসরণ করেন, তাঁরা মোটামুটি সবাই পান্ডিয়ার এই ঘড়ি প্রীতি দেখে অভ্যস্ত। তবে, এই নিয়ে এবারই প্রথম তিনি জড়ালেন বিতর্কে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ফিনিশার’ ভূমিকা নিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলির দলের সাথে। সেই ভূমিকায় নিজেকে কাজে খুব সামান্য লাগাতে পারলেও দলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন আর নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার – দুটোই প্রায় ‘ফিনিশ’ করে দিয়ে এসেছেন। ভারত সুপার টুয়েলভ থেকেই বাদ পড়ে। হার্দিক পান্ডিয়া ফিটনেসের ঘাটতির কারণে বল হাতেই নিতে পারেননি, এমনকি ব্যাট হাতেও তিনি স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না। পারফরম্যান্স আর ফিটনেসেরে জের ধরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত সিরিজেও তাঁর জায়গা হয়নি।