২০৩১ সাল পর্যন্ত সবগুলো আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। এরমধ্যে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এছাড়া ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের কাঁধে। মূলত ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া ও ২০২৮ সালে লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তুর্ভুক্ত করার লক্ষ্যেই আইসিসির এমন উদ্যোগ।
ফলে আগামী কয়েক বছরের আইসিসির অনেক বড় বড় ইভেন্টের আয়োজক হতে যাচ্ছে আমেরিকা, নামিবিয়ার মত দেশগুলো। আইসিসির বিশ্বাস এতে ক্রিকেটও অনেক দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। ওদিকে ক্রিকেটের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বাজার উপমহাদেশেও নিজেদের নজর রেখেছে আইসিসি। স্বাভাবিক ভাবে উপমাহাদেশে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করলেই সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ আসেন।
ফলে এর মধ্যে তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। এর মধ্যে আছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন হিসেবে ভারতের সাথে থাকবে শ্রীলঙ্কা। ওদিকে ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ও ভারত। আর ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি একাই আয়োজন করবে ভারত।
তবে, এই তিনটি বড় আসর আয়োজনের মাধ্যমে ১৫০০ কোটি রূপি ট্যাক্স থেকে ছাড় পাচ্ছে ভারত। ইভেন্ট আয়োজন করতে যে ট্যাক্স দিতে হয় সেটা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছিল বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে সেটা মেনে নেয়নি ভারত সরকার। পরে এই ট্যাক্সের পুরো টাকাটা আইসিসি বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া ২৯ বছর পর আবার কোন আইসিসি ট্রফির আয়োজক হতে চলেছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১১ সালে কাগজে কলমে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হলেও নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান কোনো ম্যাচ পায়নি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হতে যাচ্ছে দেশটি।
ওদিকে আমেরিকা আগেও ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করেছে। তবে এত বড় কোন আয়োজন এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে আমেরিকায়। দেশটির ক্রিকেটের জন্যও দারুণ বুস্ট আপ হবে এটি। আমেরিকা দলও আয়োজক হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে।
ওদিকে বিসিসিআই এর জন্য ট্যাক্স থেকে ছাড়া পাওয়া বেশ সস্তির সংবাদ। এমনিতেই এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পেরে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য সরকারকে ১০ শতাংশ ট্যাক্স দেয়ার আইন আছে ভারতে। ফলে তিনটি আয়োজনের জন্য মোট ২০০ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স দিতে হতো ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে। ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ১৫০০ কোটি রূপি।
জানা যায় এই ট্যাক্সের কথাটা আইসিসির বোর্ড সভায় তুলেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির সহকারী জয় শাহ। অন্যান্য দেশ এই ট্যাক্স থেকে অব্যাহতি পেলেও ভারত সরকার তা করতে নারাজ। ওদিকে বিসিসিআই ও এই অর্থ পরিশোধ করার জন্য আইসিসির সাহায্য চায়। পরে পুরো ট্যাক্সের টাকাটাই আইসিসি পরিশোধ করবে বলে জানা যায়।