প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে মেয়েরা

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণের আবির্ভাবের জের ধরে জিম্বাবুয়েতে চলমান নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত নয়, আসরই বাতিল। র‌্যাংকিংয়ের ওপর ভিত্তি করে মূল পর্বে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাঁদের সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মেয়েদের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নিউজিল্যান্ডে। আসরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২০২২ সালে।  স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আগেই মূল প্রতিযোগিতায় খেলা নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা, র‌্যাংকিংয়ের পাঁচে আছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ঐতিহাসিক একটা মুহূর্ত – মূল পর্বে খেলার সুযোগটা বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলেও এই মুহূর্তে দলটি আছে দেশে ফেরার শঙ্কায়।

আইসিসির হেড অব ইভেন্টস ক্রিস টেটলি এক বিবৃতে বলেন, ‘আমাদের খুব হতাশার সাথে জানাতে হচ্ছে যে আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে আসরটি বাতিল করা হল। দলগুলো দেশে ফিরতে পারবে কি না, সেই নিয়েও শঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি কি কি করা যায় – সে নিয়ে ভাবছি আমরা। যত দ্রুত সম্ভব দলগুলোকে জিম্বাবুয়ে থেকে বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই ব্যাপারে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে আইসিসির সাথে। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এটা আইসিসি ইভেন্ট। ফলে ওরাই সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। দেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও আইসিসিই করবে। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা এই ব্যাপারে সার্বক্ষণিক ভাবে আইসিসির সাথে যোগাযোগ রাখছি।’

শুধু আইসিসি নয়, দলের সাথেও যোগাযোগ আছে বিসিবির। সুজন বলেন, ‘দলের সবাই নিরাপদে আছেন। মেয়েদের সাথে বিসিবি যোগাযোগ রেখেছে।’

এই আসরে বাংলাদেশ এমনিতেও ছিল বেশ ভাল অবস্থানে। সর্বশেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডের মেয়েদের কাছে হারলেও প্রথম ম্যাচে তারা জিতেছে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে, তিন উইকেটে। পরের ম্যাচে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের বিপক্ষে, জয়ের ব্যবধানেস ২৭০ রানের। ২৯ নভেম্বর তাঁদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও সেটা আপাতত বাতিল।

‘ওমিক্রন’ নামের  নতুন একটা কোভিড ১৯ ধরণ সম্প্রতি বেশ প্রকোপ বিস্তার করেছে আফ্রিকান দেশগুলোতে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এর মধ্যে জিম্বাবুয়েও আছে। ফলে, বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব মাঝপথেই বাতিল করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আইসিসির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link