ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার ভারতীয় তারকা শচীন টেন্ডুলকার। দীর্ঘসময় ২২ গজ মাতানোর পর বর্তমানে তিনি ক্রিকেটের সাথে সরাসরি আর যুক্ত নেই। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর বোর্ডের সাথেও যুক্ত হননি শচীন, কোচিংয়েও নিজেকে সংযুক্ত করেননি। তবে দেশটি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) চায় শচীনকে বোর্ডের সাথে যুক্ত করতে।
বিসিসিআইর কিছু সূত্র শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানায় বিসিসিআইও চায় শচীন ভারতীয় ক্রিকেটের সাথে যুক্ত থাকুক। আর সে নিয়েই কাজ করছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রমতে, ‘জয় মিডিয়ার সামনে না এলেও তিনি বোঝেন কখন তাকে কি করতে হবে এবং তিনি সেভাবেই কাজ করেন। ছোট ছোট ব্যাপার অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন রাহুল দ্রাবিড়কে ভারতের হেড কোচ করা, ভিভিএস লক্ষ্মণকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) দায়িত্ব দেওয়া। আমাদেরকে বলা হয়েছে তিনি শচীনকে ভবিষ্যতে একটা দায়িত্বে আনতে চাচ্ছেন।’
২০১৯ এর শেষদিক থেকেই বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সৌরভ গাঙ্গুলি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে আছেন লক্ষ্মণ। এছাড়া জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাহুল দ্রাবিড়। একই সময়ের তারকাদের মধ্যে শচীন এখনো এসবের বাইরে। তবে, এবার তিনিও চলে আসবেন বলে জোর গুঞ্জন আছে। ফ্যাব ফোর আবারও এক সাথে, একই মিশনে।
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও বড় ভূমিকায় এখনো দেখা যায়নি এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে। তবে এই গুঞ্জনটা বেশ কিছু সময় ধরেই শোনা যাচ্ছে। এর আগে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শচীনকে ভারতীয় ক্রিকেটের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গাঙ্গুলির পর জয় শাহের বার্তা অনুযায়ী ধারনা করা হচ্ছে খুব শীগ্রই হয়তো নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে শচীনকে। তরুন ক্রিকেটারদের জন্যও অবশ্য এটি বেশ ভালো খবর।
১৯৮৯ সালে অভিষেকের পর ২৪ বছর ২২ গজ দাপিয়ে বেড়ানোর পর ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ঘরের মাটিতে ক্রিকেটকে বিদায় জানান শচীন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০ টেস্টে প্রায় ১৬ হাজার ও ৪৬৩ ওয়ানডেতে ১৮ হাজারেরও বেশি রান করেছেন এই তারকা। ১০০ সেঞ্চুরি সহ ৩৪০০০ এরও বেশি রানের মালিক তিনি। বিসিসিআইর সাথে শচীনের যুক্ত হওয়াটা ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে সেটাই প্রত্যাশা সমর্থকদেরও।