ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতীয় তারকা ওপেনার লোকেশ রাহুল। অবশ্য একই সময় এক তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে রাহুলের। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তাঁর দল। পুরো সিরিজে তিন ম্যাচের রাহুলের রান যথাক্রমে ১২, ৫৫ এবং ৯! ব্যাট হাতে যেমন ভালো সময় যায়নি, তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও বেশ খারাপ সময় কেটেছে এই ওপেনারের।
এই হারের পর রাহুল জানিয়েছেন বিশ্বকাপেই মূল ফোকাসটা আছে। একই সাথে সাদা বলের ক্রিকেটে আরো ভালো করার জন্য কাজ করছে দল। হারের কারণ হিসেবে অজুহাত না দাঁড় করিয়ে ভুল শুধরে সেরাটা দেওয়ার কথা জানান এই ওয়ানডে অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটা অবস্থায় আছি যে আমাদের ফোকাস শুধু বিশ্বকাপে। আমরা বেশ কিছু বিষয়ে কাজ করছি। আমরা দল হিসেবে আরো ভালো করার জন্য কাজ করছি। আমি মনে করি আমরা গত চার-পাঁচ বছরে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে এটাই ভালো সময় আমাদের জন্য সাদা বলের ক্রিকেটে আরো ভালো করার। এবং আমরা সেগুলো নিয়েই আলোচনা করছি। হারের জন্য কোনো অজুহাত দেখাবোনা। তবে আমরা দল হিসেবে আরো ভালো করার জন্য কাজ করছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কিছু ম্যাচ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ছাড়া অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা ছিলো না রাহুলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিরাটের অনুপস্থিতিতে এক টেস্টেও অধিনায়কত্ব করেন রাহুল। অবশ্য ওই টেস্টেও হেরে যায় ভারত।
রাহুল বলেন, ‘আমার জন্য প্রথমবার অধিনায়কত্ব করার সুযোগ ছিলো এটা। সত্যিই অসাধারণ। এবং হারের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শেখার আছে এবং এই। হার আপনাকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে জয়ের জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার ছিলো সবসময় এমন: আমি সবকিছুর শুরুই বেশ ধীরে করেছি। এবং ধীরে ধীরে আমি পরবর্তীতে সফল হয়েছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জার্নিটা এমনই ছিলো। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার অধিনায়কত্বটাও এমন হবে।’
অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে রাহুল জানান তিনি এই দায়িত্বে বেশ আত্মবিশ্বাসী। শুরুটা খারাপ হলেও ধৈর্য্য ধরে সফলতা খুঁজে পেতে যান এই ওপেনার।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি আমি খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে পারবো এবং আমি জানি দলের জন্য, দেশের জন্য ও আমার ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আমি আমার দায়িত্বে সেরাটা দিতে পারি। আমি ওই ধরনের মানসিকতার নই যে ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কোনো কিছু বিচার করে। বেশ কিছু ব্যাপার রয়েছে অধিনায়ক হিসেবে সেগুলো খেয়াল করতে হয়। আমার দল বেশ খুশি আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
তিনি আরো বলেন, ‘আর এই জিনিসটাই আমার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি একটা সময় সাফল্য ধরা দিবে এবং সেটা লম্বা সময় ধরে রাখতে পারবো। বড় কিছু অর্জন করে তারপর নিচে নামার চাইতে আমি একজন সফল অধিনায়ক হিসেবে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চাই। আশা করছি সেরাটা এখনো দেখানো বাকি।’