দাপুটে কুমিল্লার তিনে তিন

ফাফ ডু প্লেসিস ও ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাটিং তাণ্ডবের পর নাহিদুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫২ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। অধিনায়কত্ব বিতর্কের ঠিক পরের ম্যাচেই প্রথম বারের মত রান তাড়া করতে নেমে হারলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বৃথা যায় উইল জ্যাকসের ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।

১৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই আউট কেনার লুইস। পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে আফিফ হোসেন ফিরলে ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে তখন চট্টগ্রাম।

এরপর উইল জ্যাকসের ব্যাটে বেশ কিছু রান এলেও দলীয় ৩৯ রানে সাব্বির রহমান ফিরলে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাব্বির ফিরেন মাত্র ৫ রানে। মেহেদি মিরাজ, নাইম ইসলামরাও দ্রুত ফিরলে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে চট্রগ্রাম। একপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলা উইল জ্যাকস তখনো থিতু।

বেনি হাওয়েল শেষ ভরসা হিসেবে যোগ দিলেও এদিন ফিরেন মাত্র ২ রান করেই! ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিশাল টার্গেটের চাপে তখন ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে চট্রগ্রাম। সপ্তম উইকেটে জ্যাকসের সাথে ২৫ রান যোগ করলেও দলীয় ৯৭ রানে ফিরে যান আগের ম্যাচে চট্রগ্রামের জয়ের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

হারটা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে একপ্রান্তে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন জ্যাকস! এরপর ৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৬৯ রানে জ্যাকস আউট হলে ১২৩ রানে ৮ উইকেট হারায় চট্রগ্রাম। শেষ পর্যন্ত ১৫ বল বাকি থাকতে ১৩১ রানেই গুড়িয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪ রানেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারিয়ে বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও ফাফ ডু প্লেসিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় সামলিয়ে বড় সংগ্রগের ইঙ্গিত দেয় কুমিল্লা।

দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৫৫ বলে ৮০ রানের অনবদ্য এক জুটি। এরপর দলীয় ৮৪ রানে ব্যক্তিগত ৩৪ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৭ রানে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে ফিরেন লিটন। দ্রুতই ফিরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। ৮৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে তখন কুমিল্লা।

তবে একপ্রান্তে চলতে থাকে ফাফ ঝড়। সাথে যোগ দেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দু’জনে তাণ্ডবে দ্রুত এগোতে থাকে কুমিল্লার রানের চাকা। একপ্রান্তে ফাফ তুলে নেন অসাধারণ এক ফিফটি। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৪৯ বলে ৯৭ রান!

ফাফ ডু প্লেসির ৫৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে অপরাজিত ৮৩ রান ও ক্যামেরন ডেলপোর্টের ২৩ বলে ৩ ছক্কা ৪ চারে অপরাজিত ৫১ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ১৮৩/৩ (২০ ওভার); ফাফ ৮৩(৫৫)*, ডেলপোর্ট ৫১(২৩)*, লিটন ৪৭(৩৪); নাসুম ৪-০-২৩-২, হাওয়েল ৪-০-৩১-১।

চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৩১/১০ (১৭.৩ ওভার); জ্যাকস ৬৯(৪২), মৃত্যুঞ্জয় ১৩(১২), মেহেদী মিরাজ ১০(৯); নাহিদুল ৪-০-১৭-৩, মুস্তাফিজ ৩-০-২৬-২।

ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৫২ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: ফাফ ডু প্লেসিস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link