সুপার ফোরের সংকট: কার্তিক নাকি পান্ত!

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্যায়ে পাকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোর পৌঁছে গিয়েছে ভারত। সুপার ফোরে আবারো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এমনিতেই ভারত ও পাকিস্তানএই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচ মানেই ক্রিকেটে বিশেষ কিছু। লড়াইটা চলে মাঠে, গ্যালারিতে কিংবা টিভির পর্দায়। আর যেহেতু এবারের মঞ্চটা এশিয়ার সেরা হওয়ার, তাই দুই দলের ভক্তদের মাঝে উত্তেজনা একটু বেশিই। এই আসরে ইতোমধ্যে ভারত একবার পাকিস্তানকে হারিয়েছে। তাই এবার পাকিস্তান চাইবে প্রতিশোধটা চুকিয়ে নিতে।

অবশ্য ম্যাচের আগে শুরু হয়েছে ঋষাভ পান্ত বনাম দীনেশ কার্তিক বিতর্ক। গ্রুপ পর্বের পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিল উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক। বেশ বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত ছিল সেটা। আবার পরবর্তী ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে উইকেটরক্ষকের কাজটা করতে দেখা গেছে ঋোভ পান্তকে। আসন্ন ম্যাচে কাকে দেখা যাবে গ্লাভস হাতে স্ট্যাম্পের পেছনে, আর কাকে বাদ দিবে ম্যানেজমেন্ট তাই নিয়ে চলছে নানান জল্পনা ও কল্পনা।

ভারতীয় দলের ওপেনিংটা আগলে রাখেন লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। তারপরের অবস্থানে বিরাট কোহলি, সুরিয়াকুমার যাদব ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। হংকং ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হার্দিক পান্ডিয়াকে আগামীকাল দলে ফিরছেন। ভারতীয় দলের আরেক অবিচ্ছেদ্য অংশ রবীন্দ্র জাদেজা অনাকাঙ্ক্ষিত চোটের কারণে গোটা এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। বিশ্বকাপ নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। জাদেজার বিকল্প হিসেবে স্ট্যান্ডবাই থাকা অক্ষর প্যাটেলের ডাক পড়েছে দুবাইতে।

বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল দলে রবীন্দ্র জাদেজার স্থলাভিষিক্ত হবেন। দলের এইটুকু অবস্থান তো সহজেই অনুমানযোগ্য। মূলত সংকটের জায়গাটি এর পরের অবস্থানে। পান্ত এবং কার্তিক এর মধ্যে শুধুমাত্র একজনকে দলে জায়গা দেয়া সম্ভব। কিন্তু যেহেতু অক্ষর ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে জাদেজার সমতুল্য নয়, বরং জাদেজা থেকে কিছুটা দুর্বল। তাই সম্ভবত ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট আগে ঋষাভ পান্তকে বেঁছে নিবে।

অন্যদিকে লোয়ার অর্ডারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তাই ম্যানেজমেন্ট যদি এই মুহূর্তে কার্তিক এবং তাঁর ফিনিশিংকে দলের জন্য অপরিহার্য মনে করে, তাহলে একটি উপায় হতে পারে একজন বোলারকে বলি দেওয়া। সেক্ষেত্রে পান্ত এবং কার্তিক উভয়কেই একাদশে ফিট করতে হলে বোলার আভেশ খানকে দল থেকে বাদ দিতে হবে।

দলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট কি সিদ্ধান্ত নেয় তা জানতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ অবধি অপেক্ষা করতে হবে। যাইহোক পাকিস্তান এবার ভারতের সাথে করা তাঁদের পুরনো ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিবে। যেহেতু এই এশিয়া কাপের মঞ্চেই ভারতীয় বর্তমান দলের একবার মুখোমুখি হয়েছিলো তাঁরা, তাই ভারতের খেলোয়াড় ও কৌশল পাঠ করা তাঁদের জন্য সহজ হবে।

তাছাড়া হংকংয়ের সাথে ১৫৫ রানের বিশাল জয় পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসকে তুঙ্গে রাখবে। তাছাড়া প্রতিশোধের একটা বিষয় তো আছেই। মাঠের লড়াইটা তাই নিঃসন্দেহে সহজ হতে যাচ্ছেনা। হাই ভোল্টেজ ম্যাচটিতে দুই দলই তাঁদের সেরাটা নিয়ে মাঠে নামবে এবং শেষ বল পর্যন্ত দারুণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলবে। কাল জিতে এশিয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে যাচ্ছে কারা তাই দেখার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link