মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স রুমে আজ কোন সংবাদ সম্মেলন নয়। বরং সেখানে বসানো হয়েছে চারটি টেবিল। একটা টেবিলে বসে আছেন তামিম ইকবাল ও কোচ সরোয়ার ইমরান , আরেক পাশে মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে আছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তাঁদের সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ দল গোছাতে।
কেননা হোম অব ক্রিকেটে আজ সকাল এগারোটায় শুরু হয় এবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেখান থেকেই নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে চারটি দল। প্রতিটি দলই ছয়জন করে ক্রিকেটার রিটেইন করেছে। আর বাকি ক্রিকেটারদের বেঁছে নেয়া হয়েছে এই ড্রাফট থেকেই। আর নিজের দল গোছাতে বেশ সিরিয়াস থাকতে দেখা গিয়েছে তামিম-মিরাজদের।
ওদিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই ফরম্যাটে কোন ম্যাচ খেলা হচ্ছে না ক্রিকেটারদের। সেই জড়তা কাটাতেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের দলগুলোও আজ গুছিয়ে নিয়েছে নিজেদের দল। খেলা মাঠে গড়াবে নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে। আর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি ২৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
চারটি দলের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ গড়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে মুশফিকুর রহিমও আছেন ইসলামী ব্যাংকে। এছাড়া জাতীয় দলের আরও দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও ইয়াসির আলী রাব্বিও আছেন তামিম ইকবালের দলেই।
এর বাইরে শেখ মেহেদী ও মাহমুদুল হাসান জয়কে দলে ভিড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংক। সব মিলিয়ে বিসিএলের জন্য বেশ শক্ত একটা ব্যাটিং লাইন আপ তৈরি করেছেন তামিম ইকবাল। এছাড়া বোলিং ডিপার্টমেন্ট সামলানোর জন্য দলে ভিড়িয়েছেন এবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন ও নাবিল সামাদদের।
বিসিবি সাউথ জোনের দলে ওপেনার হিসেবে আছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। এছাড়া তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান সাকিব, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেনরাও আছেন এই দলে। আর স্পিন বোলিং আক্রমণ সামলাতে মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে আছেন নাসুম আহমেদও। পেসার হিসেবে কামরুল ইসলাম রাব্বি, শরিফুল ইসলামও খেলবেন সাউথ জোনের হয়ে।
ওদিকে এবারের এনসিএলের পারফর্মারদের দিকে নজর দিয়েই দল গুছিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। ব্যাট হাতে পারফর্ম করা সালমান হোসেন খেলবেন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে। ওদিকে এবারের এনসিএলের অন্যতম সেরা দুই পেসার মুশফিক হাসান ও সুমন খানকে দলে ভিড়িয়েছে সেন্ট্রাল জোন।
এছাড়া বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে দলে নিয়েছে তাঁরা। আর প্রথম রাউন্ডেই তাঁরা দলে নিয়েছে পেস বোলার হাসান মাহমুদকে। আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকারকে রিটেইন করেছে দলটা।
ওদিকে এবারও বিসিবি নর্থ জোনেই থাকছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস। এর বাইরে তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও নিজেদের দলে ধরে রেখেছে নর্থ জোন। আর নতুন করে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, ফজলে মাহমুদ, নাঈম হাসান, রিপন মন্ডলদের দলে ভিড়িয়েছে নর্থ জোন।