সেয়ানে সেয়ানে লড়াই

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬ এবং ওয়েলসের অবস্থান ১৯। ফলে তাদের লড়াইটাও হবে সমানে সমান। প্রত্যাশা এমনই ছিল। আর হলও তাই। গ্রুপ পর্বের লড়াই ১-১ ড্র হয়েছে।

প্রথমার্ধটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। সেখানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলেছে ওয়েলস। সেখানে একটা গোলও শোধ করে তাঁরা। ফলে, পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দু’দলকে।

৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পুলিসিচের বাড়িয়ে দেওয়া শটে গোল করেন টিমোথি উইয়াহ। টিমোথি হলেন, লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি ও ব্যালন ডি’অর জয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ উইয়াহ’র ছেলে।

এসি মিলান গ্রেট জর্জ ক্যারিয়ারে ২০০’র মত পেশাদার গোল করলেও কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। বাবার সেই আক্ষেপ পূরণ করলেন টিম উইয়াহ। শুধু বিশ্বকাপ খেলাই নয়, বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে গোলও করলেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে পেনাল্টি পায় ওয়েলস। তাতে কোনো ভুল করেননি গ্যারেথ বেল। আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে অপেক্ষা ছিল এই গ্যারেথ বেলকে ঘিরেই। তবে, তিনি হতাশই করেছেন বলতে হয়।

সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা অবশ্য নিজের ছায়া হয়েই থাকলেন। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন বটে, তবে তিনি মুগ্ধ করতে পারেননি।

শেষের দিকে গোল পরিশোধ করতে দুই দলই মরিয়া ছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি।

জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। আর ওয়েলস দল এবার ৬৪ বছর পর খেলতে নেমেছে বিশ্বকাপে। একই গ্রুপের অপর খেলায় ইরানকে ৬-২ গোলে ‍উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link