চারিদিকে ফুটবল উন্মাদনা। তবুও ঢাকায় হাজির টিম ইন্ডিয়া। তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে ভারত ক্রিকেট দল এসেছে বাংলাদেশে। চার ডিসেম্বর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তবে এর আগেই বাংলাদেশ দলে দেখা দেয় নতুন এক শঙ্কা। সে শঙ্কার শেষটা কেমন হবে সেটা জানার অপেক্ষায় ছিল সবাই। অবশেষে অবসান ঘটেছে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটানো লিটন কুমার দাস বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
টাইগারদের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন দল থেকে। ভারত পূর্ণাঙ্গ শক্তির দল নিয়েই হাজির হয়েছে বাংলাদেশে। এমন একটি দলের বিপক্ষে দলের নিয়মিত অধিনায়ক ও আস্থাভাজন ওপেনার না থাকাটা খানিকটা মানসিকভাবে পিছিয়েই দেয়। তবুও একটা দল আর যাই হোক নেতৃত্ব শূন্য থাকতে পারে না। তাছাড়া ওয়ানডে দলের কোন সহ-অধিনায়কও নির্ধারণ করা হয়নি এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে।
এমন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়াটা রীতিমত অনিবার্য হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে সবাই হয়ত চিন্তা করেছিল দলে থাকা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কাউকে দেওয়া হতে পারে সে দায়িত্ব। দলে তামিম ইকবাল না থাকলেও, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম রয়েছেন। সাকিব আবার বাকি দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতের বিপক্ষে তাঁর কাধেই দায়িত্ব তুলে দেওয়াটা হতে পারত সবচেয়ে সহজ কাজ।
তবে বিসিবি থেকে বেছে নেওয়া হল লিটন দাসকে। বেশ একটা লম্বা সময় ধরেই অধিনায়কের পদের জন্য লিটন দাসের নাম ঘুরেফিরে সামনে আসছিল। তবে অবশেষে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের আগেই দায়িত্বটা পেয়ে গেলেন লিটন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিসিএলে নর্থ জোনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটের সে টুর্নামেন্টের শিরোপাটাও জিতে নিয়েছে লিটনের নেতৃত্বাধীন নর্থ জোন।
তাঁর সাম্প্রতিক এই সাফল্যই হয়ত এমন গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়ার পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন। এখন দেখবার পালা, কঠিন এই দায়িত্ব কাঁধে ঠিক কেমন করেন লিটন। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিশ্চয়ই তাঁর ব্যাটিং সত্ত্বায় প্রভাব ফেলবে না এমনটাই প্রত্যাশা টাইগার ভক্তদের।