২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন মেসি!

২০১৪ সালেও তিনি গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। তবে, সেবার চোখে মুখে ছিল রাজ্যের অন্ধকার। কারণ, বিশ্বকাপটাই যে হারিয়ে ফেলেছেন।

তবে, এবারের হিসাব ভিন্ন। কারণ, এবার শুধু গোল্ডেন বলই নয়, সাথে জিতেছেন পরম আরাধ্য বিশ্বকাপের শিরোপাও। আর শিরোপা জিতেই মেসি জানিয়ে দিলেন, এখানেই তিনি থামছেন না।

বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি জানান, জাতীয় দল থেকে অবসর নিচ্ছেন না তিনি। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দলের সাথে খেলে যেতে চান তিনি। আর কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি মনে করেন, মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপও খেলা উচিৎ।

আর্জেন্টিনা তো বটেই, বিশ্বের ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি। এমন কোনো ট্রফি নেই ফুটবল বিশ্বে – যা তিনি জেতেননি। কেবল বাকি ছিল বিশ্বকাপ – সেটাও এবার হয়ে গেল।

ধারণা করা হচ্ছিল, ৩৫ বছর বয়সী মেসি এবার জাতীয় দলকে বিদায় জানাবেন। তবে, আপাতত সেটা হচ্ছে না। তিনি তিন তারকা সম্বলিত জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ একটা অনুভূতি। আমি জানতাম, ঈশ্বর আমাকে বঞ্চিত করবেন না।  আমি নিশ্চিত ছিলাম, বিশ্বকাপ জিতবোই। এই স্বপ্নটা আমি অনেকদিন ধরে দেখছি। চেয়েছিলাম, বিশ্বকাপ দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে। তবে, না, আমি এখনই জাতীয় দল থেকে অবসরে যাচ্ছি না। আমি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।’

ফাইনালে আর্জেন্টিনার হয়ে দুই গোল করেন মেসি। তবে, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ ওঠে মেসির হাতে। হয় অধরা স্বপ্ন পূরণ।

কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি মনে করেন মেসির আরেকটা বিশ্বকাপ খেলার সামর্থ্য আছে। ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। তখন মেসির বয়স হবে ৩৯। ওই বয়সেও মেসির জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা রাখতে চায় আর্জেন্টিনা।

স্ক্যালোনি বলেন, ‘মেসিকে আমাদের ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে হবে। ও যদি খেলতে চায়, তাহলে ও আমাদের সাথে থাকবে। ওর ক্যারিয়ার কোথায় যাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো যোগ্যতা ওর আছে। ওর কোচ হওয়া আমার জন্য বিরাট এক সন্তুষ্টির বিষয়। ওর সতীর্থরাও গর্ব করে, কারণ সতীর্থদের মধ্যে নিজের অসাধারণত্ব ও ছড়িয়ে দিতে পারে। ও আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।’

মাঠের নায়ক মেসি হলে, আর্জেন্টিনা দলের আড়ালের নায়ক কোচ স্ক্যালোনি। বিশ্বকাপ জিতে গর্বিত এই কোচ বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত। বিশ্বকাপ জিততে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের ম্যাচটা নব্বই মিনিটেই জিতে যাওয়া উচিৎ ছিল। তবে, ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে যায়। আমরা লড়তে ভুলে যাইনি। শক্তিশালী হয়ে ফিরেছি। আমরা লড়েছি, কারণ বিশ্বকাপ জিততে আমরা ছিলাম মরিয়া।’

আর্জেন্টিনায় এখন উৎসবের বন্যা। কোচ বলেন, ‘খেলোয়াড়রা খেলেছে দেশের মানুষের জন্য, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্য, খেলেছে পুরো দেশের জন্য। কোনো ব্যাথাকে তাঁরা পরোয়া করেনি, কারণ ওরা জানে মাঠে ওদের লক্ষ্য কি। আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link