ফাইনাল শেষ হয়েছে সপ্তাহ পেড়িয়েছে। তৃতীয় বারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার সুযোগ নষ্ট হয়েছে ফরাসিদের। কিন্তু ফাইনালের রেশ এখনো কাটেনি ফরাসিদের মধ্যে।
ফাইনালের বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো অসন্তোষ ফ্রান্স সমর্থকদের মধ্যে। ফরাসি সমর্থকরা মনে করছেন কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রেফারি তাদের সাথে অন্যায় করেছে। তাদের কাছে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, সেই সিদ্ধান্ত গুলো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির পর্যন্তও যায়নি। তাই বিশ্বকাপ ফাইনাল আবার আয়োজনের আহবান জানাচ্ছেন লক্ষাধিক ফ্রান্স সমর্থকরা।
পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের জন্য অনলাইনে পিটিশন স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রমও চলছে। যেই সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফরাসি ভক্তদের সবচেয়ে বেশি আপত্তি তা হলো ডেম্বেলের বিপক্ষে ফাউলের সিদ্ধান্তটি।
ডিবক্সের মধ্যে ডি মারিয়াকে ফাউল করায় আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখার পর ফ্রান্স সমর্থকরা মনে করছেন ডি মারিয়ার সাথে কোনো প্রকার সংঘর্ষই হয়নি ডি মারিয়ার।
এরপর আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল নিয়েও আপত্তি ফ্রান্সের। আর্জেন্টিনার অর্ধে এমবাপ্পেকে ফাউল করা হলেও নাকি উল্টো খেলা চালিয়ে যান রেফারি। যার ফলে প্রতি আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোল পায় আলবিসেলেস্তেরা।
অতিরিক্ত সময়ে মেসির করা আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটিও সঠিক হয়নি বলে খবর ছাপাচ্ছে কয়েকটি ফরাসি গণমাধ্যম। মেসির করা গোলের সময় আর্জেন্টিনার দুই বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন- এমন দাবিই করছেন তাঁরা।
‘মেসওপিনিয়ন’ নামক একটি প্লাটফর্মে একটি অনলাইন পিটিশনও তৈরি করা হয়েছে আর সেখানে নেয়া হচ্ছে স্বাক্ষরও। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘রেফারিকে আগেই কিনে নেয়া হয়েছিল, এখানে কখনোই পেনাল্টি হতে পারে না এবং দ্বিতীয় গোলে সময় এমবাপ্পেকে ফাউল করা হয়।’
ফ্রান্সের সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বাক্ষর করছে এই পিটিশনে। ইতোমধ্যেই ২০০,০০০ এর ও বেশি স্বাক্ষর হয়েছে এই পিটিশনে। তারা সবাই ফাইনাল আবার পুনরায় আয়োজের দাবী করছেন। অনলাইন পিটিশন গুলোর মধ্যে সর্বাধিক স্বাক্ষরিত সেরা বিশ পিটিশনের মধ্যে আছে এটি।
শুধু স্বাক্ষরই নয়, পিটিশনের এই পেইজটিতে এরই মধ্যে পড়েছে ৮৫ হাজারের বেশি মন্তব্য। এর বেশির ভাগ মন্তব্যই অনেকটা এমন – ‘ফাইনালের রেফারিং সন্দেহজনক’, ‘রেফারি দুর্নীতিগ্রস্থ’। বিশ্বকাপ শেষ হলেও বিশ্বকাপ শিরোপা হারানোর আক্ষেপ এখনও ভুলতে পারছে না ফ্রান্স। বিতর্কিত রেফারিং এর স্বীকার হয়ে তাই পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের আন্দোলন গড়ে তুলছে তারা।