ফরাসিদের কান্না থামানোর আমন্ত্রন আর্জেন্টিনার

লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল মঞ্চায়িত হয়েছে সপ্তাহ পেড়োতে চললো। কিন্তু এখনো সেই ফাইনাল নিয়ে আলোচনা থামছেই না। ফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুদ্ধ ফ্রান্স সমর্থকরা ইতোমধ্যেই পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের জন্য অনলাইনে পিটিশন স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সেই পিটিশনে জবাব দিলো এবার আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। পিটিশনকারীদের ফাইনাল নিয়ে কান্না থামানোর আহবান আর্জেন্টাইনদের।

লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল মঞ্চায়িত হয়েছে সপ্তাহ পেড়োতে চললো। কিন্তু এখনো সেই ফাইনাল নিয়ে আলোচনা থামছেই না। ফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুদ্ধ ফ্রান্স সমর্থকরা ইতোমধ্যেই পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের জন্য অনলাইনে পিটিশন স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সেই পিটিশনে জবাব দিলো এবার আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। পিটিশনকারীদের ফাইনাল নিয়ে কান্না থামানোর আহবান আর্জেন্টাইনদের।

ফাইনালে আর্জেন্টিনার করা ৩ টি গোল নিয়েই আপত্তি ফ্রান্সের। রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক এর ম্যাচ পরিচালনায় রীতিমতো অন্যায় দেখছেন ফ্রান্স সমর্থকরা। রেফারি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলেও মনে করেন তারা। অনলাইন পিটিশনে পুনরায় ফাইনাল আবেদনের দাবীতে স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম চলছে। যাতে ইতোমধ্যেই স্বাক্ষর করেছেন ২ লক্ষাধিক ফরাসি সমর্থক।

৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা এই দাবীর জবাব দিতেও দেরি করেননি আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। ভ্যালেন্টিন গোমেজ নামক আর্জেন্টাইন ফ্রান্স সমর্থকদের জবাব দেবার জন্য কার্যক্রম শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে গোমেজ বলেন, ‘যদি ফরাসিরা বিশ্বকাপ ফাইনাল পুনরায় আয়োজনের জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করে,তাহলে আমি চাই এই মুহুর্তে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে যে একতা আছে সেটিকে আমরা কাজে লাগাই এবং আমরাও স্বাক্ষর গ্রহণ শুরু করি যেন ফ্রান্স সমর্থকরা তাদের কান্না-কাটি থামায় এবং তারা স্বাক্ষরের বিশ্বকাপ জিততে পারে।’

তাই ফ্রান্স সমর্থকদের পিটিশনের বিরুদ্ধে পাল্টা পিটিশনে স্বাক্ষর গ্রহণ শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনায়ও। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে এ পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্জেন্টাইন ফ্যানরা তাদের মন্তব্যের মাধ্যমেও ফ্রান্সের দাবীর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

এক আর্জেন্টাইন বলেন, ‘যখন থেকে আমরা ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়েছি, ফ্রান্স তাদের কান্নাকাটি করেই যাচ্ছে এবং অভিযোগ জানিয়েই যাচ্ছে। তাদের স্বীকার করছে না যে আর্জেন্টাইন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’ রেফারির সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ফরাসিদেরও ধুয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা, ‘এমবাপ্পেও যদি পেনাল্টি না পেত তাহলে তারা টাইব্রেকার অবদি যেতেই পারত না।’

টানা দুইবার বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশায় পুড়ছেন ফ্রান্স সমর্থকরা। তাদের পুনরায় বিশ্বকাপ ফাইনালের আয়োজনের দাবীর বিরুদ্ধেও ছেড়ে কথা বলছে না ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। বিশ্বকাপ ফাইনালের উত্তেজনার রেশ তাই এখনো চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...