এক মাস পরেই ছিলো আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ওডিআই সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত সিরিজ। কিন্তু ওডিআই সুপার লিগের পয়েন্টের তোয়াক্কা না করেই মার্চে অনুষ্ঠিতব্য সে সিরিজ বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের পুরো ৩০ পয়েন্টই পাচ্ছে আফগানিস্তান। অজিদের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ আফগানরা। আফগান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান তো অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে না খেলার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন।
প্রায় ৬ বছর ধরেই বিগ ব্যাশে নিয়মিত মুখ রশিদ খান। ২০১৭ সাল থেকে এই টুর্নামেন্টে খেলে আসছেন এই লেগ স্পিনার। রশিদ ছাড়াও মোহাম্মদ নবি, মুজিবুর রহমান, কায়েস আহমেদরাও নিয়মিত মুখ অস্ট্রেলিয়ার এই টি-টোয়েন্টি আসরের। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না রশিদ।
এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‘অস্ট্রেলিয়া সরকারসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর মার্চে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় সুপার লিগের অংশ আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি নারী ও মেয়েদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পার্ক ও জিমে যেতে আফগান সরকার নিষিদ্ধ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানসহ পুরো বিশ্বে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের প্রসারে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর। নারীদের অবস্থার উন্নয়নে আমরা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাহায্যের জন্য তাদের ধন্যবাদ।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্যতম বড় উদযাপনের জায়গা। বহুল প্রতিক্ষিত এই সিরিজ বাতিল হওয়ায় তাই হতাশ রশিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে রশিদ লেখেন, ‘‘ক্রিকেট! দেশের একমাত্র আশা। রাজনীতিকে এর কাছ থেকে দূরে রাখুন। অস্ট্রেলিয়া আমাদের বিপক্ষে মার্চে খেলতে যাওয়া সিরিজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় আমি সত্যিই হতাশ। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি বেশ গর্ববোধ করি। আর আমরা বিশ্বমঞ্চে দারুণ উন্নতি দেখিয়েছি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত আমাদের সেই যাত্রাকে পিছিয়ে দিয়েছে।’
এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে খেলার ব্যাপারে ভাববেন বলেও জানান তিনি, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা যদি অস্ট্রেলিয়ার জন্য অস্বস্তির বিষয় হয়, তবে বিবিএলে (বিগ ব্যাশ লিগে) নিজের উপস্থিতির মাধ্যমে আমি কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। যার ফলে এই প্রতিযোগিতায় নিজের ভবিষ্যৎ আমি আরো জোরালোভাবে বিবেচনা করব।