ফাইনালে দুর্দান্ত রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদ আর কার্লো আনচেলত্তির। অন্যদিকে মেসি দল ছাড়ার পর শিরোপা জিততে পারেনি বার্সেলোনা। শিরোপা তো বটেই বার্সেলোনার পারফরম্যান্সকে গত দুই সিজন ধরে গড়পরতা বললেও ভুল হবে না। তবে এবার সেই বার্সাই বর্তমান ইউরোপ সেরা এবং লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে সুপার কাপের ফাইনালে হারিয়ে দিলো প্রায় অনায়াশেই। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবার ৪২০ দিন পর প্রথম শিরোপা জিতলেন জাভি।
বার্সার গোছানো ফুটবলের সামনে বেশ অসহায়ই লেগেছে রিয়ালকে। পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই ব্লু গ্রানারদের পারফরম্যান্সের কোনো জবাব ছিলোনা রিয়ালের কাছে।গত মৌসুমেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলো মাদ্রিদের জায়ান্টরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে কিছুটা হলেও খেই হারিয়েছে তারা।
তার প্রতিফলনই যেন দেখা গেলো গতকালে রিয়াদে। প্রতিপক্ষকে একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখতে অভ্যস্ত রিয়াল কিনা অন টারগেট শট নিতে সময় নিলো ৬৯ মিনিট। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেই ছন্নছাড়া লাগছিলো রিয়ালকে। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হলো তাদের।
২০২৩ সালটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাদের। একের পর এক ভুলে ভরা ম্যাচ খেলছে রিয়াল। ফাইনালেও একের পর এক শিশুতোষ ভুল করেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।এদের মিলিতাও, আন্তোনিও রুডিগার, মেন্দিদের ডিফেন্সে অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। হজম করা তিনটি গোলেই স্পষ্ট ভুল ছিলো মাদ্রিদ রক্ষণের।
‘ফাইনাল হারে না মাদ্রিদ’ এটা যেন বেদ বাক্য হয়ে গিয়েছিলো মাদ্রিদিস্তাদের জন্য। এমন অতিআত্মবিশ্বাসই কাল হলো রিয়ালের জন্য। সামনেই আবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে কোপা দেল রে’র ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে রিয়াল। এ ভুল গুলো শুধরাতে না পারলে অশনি সংকেতই অপেক্ষা করছে রিয়ালের জন্য।