টানা তিন ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের শুরুটা হয়েছিল একদম যাচ্ছেতাই। কোনোভাবেই সেখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছিল না দলটা। তবে অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে খুলনা। এ বারের আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের মুখ দেখল তারা। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটাকে ‘একপেশে’ বানিয়ে খুলনা টাইগার্স জিতেছে ৯ উইকেটে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি রংপুর রাইডার্সের। কোনো রান না করেই ফিরে যান ওপেনার রনি তালুকদার। অপর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ শুরুর বার্তা দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফিরে যান ২৫ রান করে।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে আর উইকেটে থিতু হতে পারেননি কোনো ব্যাটার। আগের ম্যাচগুলোর মত এ ম্যাচেও ব্যর্থ হন নাইম শেখ। আর মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে শামীম পাটোয়ারি, মোহাম্মদ নওয়াজ- কেউই ব্যক্তিগত রানসংখ্যায় এক অঙ্ক পার করতে পারেননি। রাইডার্সদের ইনিংসে যা একটু রান এসেছে তা মাহেদী হাসানের কল্যাণে। ২ চার আর ২ ছক্কায় খেলেছেন ৩৪ বলে ৩৮ রানের একটি ইনিংস। আর এতে কোনোমতে ১২৯ রানের পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে বোলিংয়ে আধিপত্য দেখিয়েছে দুই পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আর আহমেদ বাট। এই দুজন মিলেই রংপুর রাইডার্সের ইনিংসে ৭ টি উইকেট তুলে নেন। ওয়াহাব রিয়াজ মাত্র ১৪ রান খরচায় নেন ৪ টি উইকেট আর আহমেদ বাট ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ টি উইকেট।
১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালই করে খুলনা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর মুনিম শাহরিয়ার মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। মুনিম শাহরিয়ার ব্যক্তিগত ২১ রানে ফিরে গেলেও দলের তেমন বিপত্তি ঘটতে দেননি তামিম। উইকেট আগলে রেখে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। আর এতেই এবারের আসরে নিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন তামিম। ৪ চার আর ২ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৬০ রানের একটি ইনিংস।
তামিমের সাথে উইকেটে সঙ্গ দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। শুরুতে বেশ মন্থর গতিতে ব্যাটিং করলেও পরে কিছুটা পুষিয়ে দেন এই ব্যাটার। খেলেন ৩৮ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। আর এই দুজনের নিরবচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটিতে ১০ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় খুলনা।
এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে দুই ধাপ এগিয়ে ৫-এ উঠে আসলো খুলনা টাইগার্স। আর ম্যাচ হারলেও রংপুর রাইডার্স রইল তিনেই।