ক্রমেই যেন নিজেকে মহীরূহে পরিণত করছেন তিনি। ভারতের ক্রিকেটর সম্ভবত নেক্সট বিগ থিঙ তিনিই। কিছুদিন আগেই সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন শুভমান গিল।
সেই দুর্দান্ত ফর্মের ধারা ধরে রেখেছেন গিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা গিল এবার তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজমের সাথে।
লাল বলের ক্রিকেটে মোটামুটি নিয়মিতই ছিলেন বলা চলে। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সেভাবে দলে জায়গা করে নিতে পারছিলেন না গিল। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনাপে জায়গা করে নেওয়াটা এমনিতেই কঠিন। তার ওপর টপ অর্ডারে রোহিত, ধাওয়ান, কোহলি, রাহুলকে টপকে একাদশে জায়গা পাওয়াটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ।
নিজের বিয়ের জন্য এই সিরিজ থেকে ছুটিতে আছেন ভারতের সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। দল নেই শিখর ধাওয়ানও। তাই একাদশে সুযোগ পান তরুণ গিল। আর সুযোগ পেয়েই যেন বছরের শেষে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের দলে নিজের জায়গার দাবিটা জোরালো ভাবে জানিয়ে রাখলেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে দ্বিশতক করার পর তৃতীয় ওয়ানডেতে আবারো সেঞ্চুরি করলেন ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে যেন নিউজিল্যান্ডের বোলারদের রীতিমতো অত্যাচার করছিলেন শুভমান গিল আর রোহিত শর্মা।
দীর্ঘদিনের সেঞ্চুরি খড়া কাটিয়ে অধিনায়ক রোহিতের সেঞ্চুরি পাবার দিনে শুভমান গিলকে নিয়ে কিউই বোলারদের ওপর রাজত্ব করেছেন দুইজন। আর সেটা করতে গিয়ে যেন বার বার তিনি বলতে চাইলেন, এখন তাঁরই সময়।
সিরিজের দ্বিতীয় আর ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে গিল করেন ৭৮ বলে ১১২ রান। এর মধ্য দিয়ে এই সিরিজ গিল শেষ করলেন ৩৬০ রান নিয়ে। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩৬০ রান করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন বাবর আজম। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন গিল।
এছাড়াও এ সেঞ্চুরি জন্ম দিয়েছে আরো রেকর্ডের। ওডিআই ক্যারিয়ারের মাত্র ২১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেই চতুর্থ সেঞ্চুরি করে ফেললেন গিল। ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ৪ টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এখন গিলের। এর আগে ২৪ ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন আরেক ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
ক্যারিয়ারের গোড়াতেই কিংবদন্তিদের সাথে তুলনা। নিশ্চয়ই, গিলের সামনে লম্বা পথ বাকি।