দু:স্বপ্নময় চলছেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হতাশার যাত্রা যেন থামছেই না ঢাকা ডমিনেটর্সের। প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করলেও এরপর টানা ৬ ম্যাচ পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে দলটা। খুলনার বিপক্ষে আগের ম্যাচে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা চেষ্টার ছাপ দেখা গিয়েছিল। তবে আবারো সেই পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী হল ঢাকা। নিজেদের নবম ম্যাচে এসে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা ডমিনেটর্স। তবে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি ঢাকার। দলের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান এবং সৌম্য সরকার ফিরেছেন বড় রান না করেই। তবে এক প্রান্ত উইকেট আগলে রেখে ব্যাট করেছেন উসমান গনি।
নাসির হোসেন শেষ দিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও রান আউটে কাটা পড়ে তাঁর ইনিংস শেষ হয় ২৯ রানে। নাসির আউট হওয়ার পর খুব কম পুঁজির দিকেই যাচ্ছিল ঢাকার ইনিংস। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে হারিস রউফের করা শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে উসমান ঘানি দলীয় রান নিয়ে যান ১৪৪-এ।
৭ চার আর ৩ ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন গনি। একমাত্র তিনিই আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তবে, সেটা নিভে যেতে সময় লাগেনি। ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর রাইডার্স।
রানের খাতা খোলার আগেই এদিন সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার নাইম শেখ। তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে ম্যাচের চিত্র মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে দেন পিঞ্চ হিটার শেখ মেহেদী হাসান। বলতে গেলে একা হাতেই টেনে নিয়ে যান রংপুর রাইডার্সকে।
মেহেদীকে সঙ্গ দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। তবে ২৯ রান করে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এক ওভার বাদে শোয়েব মালিকও আউট যান। তবে তাতে দলে কোনো বিপত্তি ঘটেনি।
৪৩ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে রংপুর রাইডার্সকে ম্যাচ একদম হাতের মুঠোয় এনে দেন মেহেদী। বল হাতে এ দিন এক উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় দুর্দান্ত এ ইনিংসটি সাজান তিনি। আর তাতে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের সহজ এক জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
আট ম্যাচ শেষে এটা রংপুরের পঞ্চম জয়। চতুর্থ স্থানে আছে তাঁরা ১০ পয়েন্ট নিয়ে। অন্যদিকে, নয় ম্যাচে এই নিয়ে সপ্তম বারের মত পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া ঢাকার দুর্দশা আরও বাড়ল।