মেহেদী, দ্য পিঞ্চ হিটার

পিঞ্চ হিটারের যতটুকু দায়িত্ব ঠিক ততটুকুই করার চেষ্টা করেছেন তিনি। একই কাজ তাঁকে করতে দেখা যায় বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশ দল আসলে তাঁর ব্যাটিংটাকে বোনাস হিসেবেই ধরে। কেননা বল হাতে নিজের কাজটা ধারাবাহিক ভাবেই করেন এই অলরাউন্ডার। রংপুর রাইডার্সের ক্ষেত্রেও দেখা গেল একই চিত্র।

কখনো তাঁকে খেলানো হয়েছে লোয়ার মিডল অর্ডারে। কখনো আবার পাঠানো হয়েছে তিন কিংবা চার নাম্বার পজিশনে। এমন কি কখনো কখনো চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ওপেন করার দায়িত্বটাও। একেবারে পরিপূর্ণ পিঞ্চ হিটার যাকে বলে। রংপুর রাইডার্সে শেখ মেহেদী হাসানের ব্যাটিং অর্ডারের নিশ্চয়তা না থাকলেও আজ দলের জয় ঠিকই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

পিঞ্চ হিটারের যতটুকু দায়িত্ব ঠিক ততটুকুই করার চেষ্টা করেছেন তিনি। একই কাজ তাঁকে করতে দেখা যায় বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশ দল আসলে তাঁর ব্যাটিংটাকে বোনাস হিসেবেই ধরে। কেননা বল হাতে নিজের কাজটা ধারাবাহিক ভাবেই করেন এই অলরাউন্ডার। রংপুর রাইডার্সের ক্ষেত্রেও দেখা গেল একই চিত্র।

বল হাতে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই নিজের মত করে পারফর্ম করেছেন। কখনো ইকোনমিক্যাল বোলিং করে অবদান রেখেছেন, কখনো উইকেট নিয়ে দলকে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। আবার ব্যাট হাতেও নিজের কাজটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছেন।

পিঞ্চ হিটার হিসেবে তাঁকে যখন ওপেন করতে কিংবা টপ অর্ডারে নামানো হয়েছে তিনি সেই সুযোগের অপব্যবহার করেননি। কখনো রান করতে পেরেছেন, কখনো পারেননি। তবে অযথা বল নষ্ট করে টিকে থাকার চেষ্টা করেননি। ফলে রংপুর রাইডার্স তাঁকে ম্যাচের পর ম্যাচ উপরে খেলানোর সাহসটা দেখাতে পেরেছে।

এমনকি তাঁদের মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নেওয়াজদের মত নাম থাকার পরেও। আজও শেখ মেহেদী ব্যাট করতে নেমেছেন তিন নাম্বার পজিশনে। আজও তাঁর চেষ্টাটা রোজকার মতই ছিল। তবে আজ আর অল্পতে থামেননি এই ব্যাটার। দলের জয় নিশ্চিত করেছেন ব্যাট হাতে।

সিলেটে দিনের ম্যাচে ব্যাট করা একটু কঠিন। তবে মেহেদীর ব্যাটিং দেখে সেটা মনে হয়নি একবারও। আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা করতে পেরেছিল ১৪৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রংপুরের। দলীয় পাঁচ রানের সময়ই আউট হয়ে যান ওপেনার নাঈম শেখ। আর ব্যাট হাতে নামানো হয় শেখ মেহেদীকে।

এরপর থেকে রংপুরকে আর স্কোরবোর্ড নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। একেবারে প্রপার ব্যাটারের মতই নিজের ইনিংসকে সাজিয়েছেন তিনি। সিঙ্গেল নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছেন। বাজে বল পেলে চার মেরেছেন, মেরেছেন বিশাল সব ছয়ও। সব মিলিয়ে এক মেহেদীর ব্যাটেই অসহায় হয়ে উঠেছিল ঢাকার বোলিং লাইন আপ।

আল আমিনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে খেলেছেন ৭২ রানের ইনিংস। ব্যাটিং করেছেন ১৬৭.৪৪ স্ট্রাইক রেটে। এই ইনিংসটিতে মেহেদী মেরেছেন মোট ১১ টি বাউন্ডারি। যার পাঁচটাই আবার ছিল ছয়। ফলে শোয়েব মালিক, সোহানরা রান না পেলেও ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি রংপুরের।

ব্যাট হাতে এমন ইনিংস খেলার আগে আজও বল হাতে ছিলেন অনবদ্য। ঢাকাকে চেপে ধরার কাজেও শুরুতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। তিন ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান। ইকোনমি রেট চারের একটু বেশি। সাথে নিয়েছিলেন একটি উইকেটও।

বল হাতে এমন পারফর্মেন্সের পর ব্যাট হাতে ঝড়। সব মিলিয়ে আজ দিনটাই নিজের করে নিয়েছেন এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। ব্যাট বল হাতে এমন শেখ মেহেদীকে তো বাংলাদেশ দলও চায়। সেটারও প্রস্তুতি তিনি নিয়ে নিচ্ছেন নিশ্চয়ই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...