করোনা বিপর্যয়ে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলো ক্রিকেট। সব বাধা উপেক্ষা করে অক্টোবরে প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মুশফিক তামিমরা মাঠে ফিরলেও এখনো মাঠে ফেরার সুযোগ পাননি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। এমনকি অনুশীলন করারও সুযোগ মেলেনি তাদের। দীর্ঘ দিন হলো অনুশীলনে ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে রুমানা সালমারা।
অবশেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের অপেক্ষার প্রহর খুব দ্রুতই শেষ হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশ নারী দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইয়ে মাঠে নামবে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতেই সিলেটে শুরু হচ্ছে নারী দলের ক্যাম্প।
করোনা বিপর্যয়ের আগে থেকেই ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল, সময়ের হিসেবে প্রায় ১১ মাস। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুরুষদের পাশাপাশি কিছু নারী ক্রিকেটার ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করলেও ব্যাট বল হাতে মাঠে নামা হয়নি তাদের।
দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকার কারণে প্রস্তুতি পর্ব একটু আগেই শুরু করছে বিসিবি। ৩ জানুয়ারি থেকে সিলেটে শুরু হবে জাহানারা খাতুনদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্প চলাকালীন জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর থাকবে সবাই। ক্যাম্পে অংশ নেবে ৩০ থেকে ৩২ জন ক্রিকেটার।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘প্রায় ১১ মাস ধরে নারী দলের কেউ খেলার মধ্যে নেই। এজন্য একটু আগেই আমরা ওদের প্রস্তুতি শুরু করছি। যেন নিজেদের সময় মতো মানিয়ে নিতে পারে।
অনেক দিন হলোই মেয়েদের হেড কোচের আসনটি শূন্য। চূড়ান্তভাবে এখনো কোচ নিয়োগ দেয়নি বিসিবি। তাই ক্যাম্পের শুরুতে দেশী কোচ দিয়ে কাজ শুরু করতে চায় বিসিবি। জানুয়ারিতে মেয়েদের বিদেশী কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল। তিনি বলেন, ‘আপতত আমরা সিলেটে এই ক্যাম্প শুরু করবো দেশি কোচ নিয়ে। তবে আগামী জানুয়ারিতে আশা করি একজন বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে পারবো। সেই চেষ্টাই আমরা করছি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে পুরুষদের অনুশীলনের পাশাপাশি বিসিবি সুযোগ করে দিয়েছিলো দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলার। প্রথমে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রেসিডেন্টস কাপ ও পরে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ খেলেছে মাহমুদউল্লাহ সাকিবরা। মেয়েদেরও এরকম সুযোগ করে দেওয়ার চেস্টা করা হবে বলে জানিয়েছে শফিউল ইসলাম চৌধুরি নাদেল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনেরও। যদি পরিস্থিতি ভালো হয়, সেগুলো করতে সময় লাগবে না। আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যেই রাখছি সব।’