করোনাকালে আইসিসি সব ম্যাচ স্বাগতিক দেশের আম্পায়ারদের দিয়েই পরিচালনা করছে। সে হিসেবে সামনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের টেস্ট ম্যাচের আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশি আম্পায়ারেরাই। এনামুল হক মণি মনে করছেন, এটা বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্যে একটা সুযোগ।
আইসিসি বহু আগে থেকেই টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ব্যাপারটা প্রচলন করেছে। কিন্তু করোনার পর ক্রিকেট যখন চালু হলো, তখন আম্পায়ার ও কর্মকর্তাদের ভ্রমণের সমস্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই ব্যবস্থা থেকে সরে আসে তারা। বলা হয়, আপাত হোম আম্পায়াররাই ম্যাচ পরিচালনা করবেন। এ জন্য কিছু আইনেও পরিবর্তন আনা হয়। আর সেই আইনেই এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দুই প্রান্তে দুই বাংলাদেশী আম্পায়ার দেখা যাবে।
গত জুনেই বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে ২০ পার করেছে। অথচ এই ২০ বছরে মাত্র চারজন বাংলাদেশি আম্পায়ার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেছে। এই চারজনের শেষজন হলেন এনামুল হক মণি। যিনি নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে শেষবার ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন ২০১২ সালে; নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের ম্যাচটাতে।
এনামুল হক মণিই প্রথম ও শেষ বাংলাদেশি আম্পায়ার যিনি আইসিসির এমার্জিং আম্পায়ার মনোনীত হয়েছিলেন। একটা সময়ে আইসিসি প্যানেলেও ছিলেন। এই মুহুর্তে অবশ্য আইসিসি প্যানেলে কোন বাংলাদেশি আম্পায়ার নেই।
তবে টেস্ট আম্পায়ারিং নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে এনামুল হক মনি বলেছেন, ‘টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে থাকা একটা সুযোগ, একটা বড় অর্জনও। আমার মনে হয় এবার বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্যে সেই অর্জনের সুযোগ এসেছে। এবার স্বাগতিক দেশ থেকেই আম্পায়ার নেওয়া হবে, আমরা যদি ভালভাবে ম্যাচটা পরিচালনা করতে পারি, আইসিসি আমাদের ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাববে।’
তবে, আইসিসির এই স্বাগতিক আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার নীতির কিন্তু বেশ সমালোচনাও হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডারই যেমন মনে করছেন, খেলোয়াড়েরা যদি ভ্রমণ করতে পারে তবে আম্পায়ারদের সমস্যা কোথায়? মূলত নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচ হারার পর তিনি প্রেস কনফারেন্সে আইসিসির সমালোচনা করেন । তবে, তিনি অবশ্য মাঠের কোন ঘটনাতে কোন আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলেননি।
তবে এনামুল অবশ্য স্বাগতিক আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনাতে কোন সমস্যা দেখছেন না। আইসিসি এই নীতির জন্যে দলগুলিতে অতিরিক্ত ‘ডিসিশন রিভিউ’ দিয়েছে । যেহেতু অনভিজ্ঞ আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা হবে, এটা যৌক্তিক বলা যায়।
এনামুল যেমন বললেন, ‘যদি সফরকারীদের কোন সন্দেহ থাকে, অতিরিক্ত রিভিউ তো থাকছেই।’