আরেলিন শুয়েমেনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন, এক মৌসুমও হয়নি। ক্যাসেমিরোর বদলি হিসেবে গতবার ৮০ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে দলে ভিড়িয়েছিল। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যৎ কিংবা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় শুয়েমেনি দুর্দান্ত এক সংযোজন হয়ে রিয়ালে এসেছিলেন। এর মাঝে আবার ক্যাসেমিরো রিয়াল ছেড়ে ম্যানচেস্টারে ইউনাইটেডে নাম লেখালেন। তাই প্রথম মৌসুমেই সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে প্রমাণ করার একটা দারুণ একটা মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিলেন শুয়েমেনি।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, যে আশায় শুয়েমেনিকে দলে আনা হয়েছিল, তা পূরণ করতে এক প্রকার ব্যর্থই হচ্ছেন ফ্রান্সের এ ফুটবলার। গত মৌসুমে লিগ ওয়ানে মোনাকোর হয়ে খেলেছিলেন শুয়েমেনি। মোনাকোর হয়ে গতবারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাঁকে রিয়ালের রাডারে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু মোনাকোর হয়ে সেই ছন্দ তিনি রিয়াল মাদ্রিদে এসে আর দেখাতে পারছেন না।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি গোলে এসিস্ট করেছেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত ডিফেন্সিভ রোলেও শুয়েমেনির পরিসংখ্যান ততটা সুখকর নয়। আগের মৌসুমে মোনাকোর হয়ে যেখানে প্রতি ১১ মিনিটে বল রিকোভারি করেছেন, সেখানে এবার রিয়ালের হয়ে তা পূরণ করতে সময় নিচ্ছেন ১৫ মিনিট।
এ ছাড়া রক্ষণভাগে শট ব্লক করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছেন শুয়েমেনি। মোনাকোর হয়ে আগের মৌসুমে যেখানে ২১ বার শট ব্লক করেছিলেন, সেখানে এখন পর্যন্ত মাদ্রিদের হয়ে করতে পেরেছেন ১০ বার। যদিও শুয়েমেনির পারফরম্যান্সের সার্বিক চিত্র পাওয়া যাবে এ মৌসুম শেষ হওয়ার পর। তারপরও এখন পর্যন্ত লস ব্ল্যাঙ্কোসদের প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না ফেঞ্চ এ মিডফিল্ডার।
অবশ্য মৌসুম জুড়ে রিয়াল মাদ্রিদও যে খুব ভাল অবস্থানে রয়েছে, সেটিও নয়। স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপ দৌড়ে এখন পর্যন্ত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার চেয়ে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছে তারা। এর উপর কোপা দেল রে’র সেমির প্রথম লেগে বার্সেলোনার কাছে নিজেদের মাটিতেই হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে সব শেষ ৫ এল ক্লাসিকোর দেখার ৪ টিতেই পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের।
এ ছাড়া এই মৌসুম শেষেই মাদ্রিদ শিবির ছাড়তে পারেন মধ্যভাগের দুই প্রাণভোমরা লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুস। সব মিলিয়ে সামনের সামার ট্রান্সফার রিয়াল মাদ্রিদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটা সময় হতে যাচ্ছে। যদিও মাদ্রিদ বোর্ড এরই মধ্যে নজরে রেখেছে বেশ কিছু ফুটবলার। যাদের মধ্যে রয়েছে জুড বেলিংহ্যাম, হাল্যান্ড, এমন কি এমবাপ্পেও। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তিই সম্পন্ন হয়নি। এর জন্য চোখ রাখতে হবে সামনের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো মার্কেটে।