রোনালদোর পর্তুগাল অধ্যায় এখনও বাকি!

নিজের শেষ বিশ্বকাপ হিসেবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো খেলতে গিয়েছিলেন অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই। কিন্তু পর্তুগালের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় কিনা বাদ পড়লেন প্রথম একাদশ থেকেই। প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সাথে বিশ্বকাপ চলাকালীন বিবাদেও জড়ান রোনালদো। বিশ্বকাপের পরই তাই পর্তুগালের জার্সিতে ৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে।

একে তো বয়সের ভারে পারফরম্যান্স পড়তির দিকে, তার উপর ইউরোপীয়ান ফুটবলকে বিদায় বলে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবের আল নাসেরে। তাই শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে না খেলা রোনালদোকে ২০২৪ ইউরো পরিকল্পনায় রাখা হবে না বলেই ধরে নেয়া হচ্ছিল ৷ মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবার পরেই চাকরি যায় পর্তুগাল কোচ সান্তোসের। এরপর পর্তুগীজদের কোচ হয়ে আসেন বেলজিয়ামের সাবেক কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।

মার্টিনেজের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ ইউরো কাপের বাছাই পর্ব। ওই বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য পর্তুগাল দল ঘোষণা করা না হলেও রোনালদোকে তিনি ডেকে নিয়েছেন জাতীয় দলে। মার্টিনেজের কাজ দেখে বোঝাই যাচ্ছে রোনালদোকে দলে রেখেই ২০২৪ সালের ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ২৪ মার্চ ইউরোর বাছাই পর্বের ম্যাচে পর্তুগালের সামনে লিশটেনস্টাইন। তার তিন দিন পরেই পর্তুগাল নামবে লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে।

রোনালদোকে দলে ডাকা নিয়ে মার্টিনেজ বলেছেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দলের প্রতি দায়বদ্ধ। ওর অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগবে। দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য রোনাল্ডো। আমি বয়সকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না।’

বিশ্বকাপে বেনফিকা ফরোয়ার্ড গঞ্জালো রামোসের কাছে একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন রোনালদো। সেই রামোসকেও স্কোয়াডে রাখতে যাচ্ছেন মার্টিনেজ। কিন্তু ইনজুরির কারণে বাদ পড়তে যাচ্ছেন জোয়াও ফেলিক্স ও দিয়াগাও জোতা।

পর্তুগালের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১৯৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রোনালদো। আর এক ম্যাচে মাঠে নামলেই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নেবেন সাবেক বিশ্বসেরা এই খেলোয়াড়। রোনালদোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পর্তুগালকে কোথায় নিয়ে যান মার্টিনেজ সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link