গত তিনটি বিশ্বকাপেই শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক দেশ। ২০১১ সালে ভারতের পর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া আর সর্বশেষ ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। ১২ বছর পর আবারো ভারতের ঘরের মাঠে ফিরছে বিশ্বকাপ।
এক দশক ধরে আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ ভারতের ওপর প্রত্যাশার চাপটাও বিরাট বড়। ১৩০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ সামলানোর দায়িত্ব কোন ১৫ জন পাবেন সেটিই এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়।
এদিকে গতকালই খেলোয়াড়দের সাথে তিন ফরম্যাটের বার্ষিক চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। চারটি ক্যাটাগরিতে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের সেই তালিকা থেকে অনেকটাই আঁচ করা যাচ্ছে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য স্কোয়াড। চার ক্যাটাগরিতে মোট ২৬ জন খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বিসিসিআই এর চুক্তিতে।
সবচেয়ে বড় পদোন্নতিটা হয়েছে অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও ইনজুরিতে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহর সাথে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে জায়গা হয়েছে জাদেজার। অন্যদিকে দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া ব্যাটার আজিন্কা রাহানে ও পেসার ইশান্ত শর্মাকে চুক্তি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা জাদেজার পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই মোটেও। তবে আলোচনা হচ্ছে জাসপ্রিত বুমরাহর চুক্তিতে থাকা নিয়ে। মূলত বিসিসিআই এর এই চুক্তি কার্যকর হবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
এই পুরো সময়টাই মাঠের বাইরে থাকার সম্ভাবনা জাসপ্রিত বুমরাহর। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বুমরাহকে পাবার আশা আছে বলেই তাকে চুক্তিতে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও উমরান মালিককে কোনো ক্যাটাগরিতেই রাখেনি বিসিসিআই। উমরানের পাশাপাশি শিখর ধাওয়ানেরও চুক্তিতে না থাকাটা তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকার সম্ভাবনাই বাড়াচ্ছে। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ধাওয়ান।
এরপরই দৃশ্যপটে আবির্ভাব হয় শুভমান গিলের। ওয়ানডে ফরমেটে দ্বিশতক সহ অতিমানবীয় ফর্মে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় ভালোভাবেই ঢুকে গেছেন গিল। রোহিতের ওপেনিং পার্টনারের জায়গাটায় তাই নাম কাটা যাচ্ছে ধাওয়ানের।