স্যার ডন ব্র‍্যাডম্যান, কেবলই একজন ক্রিকেটার নন

ক্রিকেট সম্পর্কে যদি আপনার কিঞ্চিৎ ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য একটা প্রশ্ন।বলুন তো,ক্রিকেটে ৫৭.৪ গড় কোন ব্যাটসম্যান এর? আপনি যদি উত্তরটা জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কেয়া কসমেটিকস এর পক্ষ থেকে এক বাক্স শুভেচ্ছা রইলো। আর যদি না জানেন তাহলে এবার আপনাকে একটা সহজ প্রশ্ন করি।বলুন তো,৫৩.৮ গড় কোন খ্যাতনামা ব্যাটসম্যানের? এবারেও যদি না পারেন তবে শেষ প্রশ্ন। ৯৯.৯৪ গড় কোন ব্যাটসম্যানের?

এবার তো সবাই জানেন উত্তরটা তাই না? ক্রিকেট বিষয়ে অতি অল্প ধারণা সম্পন্ন মানুষের কাছেও উপরোক্ত সংখ্যাগুলো পরিচিত।বলা যায় এগুলোই হলো ক্রিকেটের দীর্ঘ সময়ের ইতিহাসে সর্বাধিক বিখ্যাত গড়। আর এই গড়ের অধিকারী হলেন তথাকথিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র‍্যাডম্যান।সংক্ষেপে ডন ব্র‍্যাডম্যান।

ব্র‍্যাডম্যানই যে সর্বসেরা ব্যাটসম্যান এই বিষয়ে অবশ্যই তর্ক হতে পারে।কিন্তু সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান নির্ণয়ে আপনি যদি পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে চান তাহলে ব্র‍্যাডম্যানকেই আপনি সেরাদের সেরা বলতে বাধ্য হবেন।

বাড়ির পেছনে গলফ বলকে পানির ট্যাংকে ছুঁড়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই স্টাম্প দিয়ে শট খেলা ছোট্ট বালকটাই একদিন হয়ে ওঠেন ক্রিকেটেও নমস্য একজন মানুষ।জনপ্রিয়তায় তো কখনো কখনো ছাড়িয়ে গেছেন খোদ ক্রিকেটকেই।

ব্র‍্যাডম্যানের জন্ম যে অস্ট্রেলিয়ায় তা তো সবারই জানা ।এই দেশটা আয়তনে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের মধ্যে ৬ নাম্বারে। আজকের দিনে এসেও অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.৩ জন লোক বসবাস করে। যার অর্ধেকের বেশি আবার বহিরাগত। বিভিন্ন দেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছে তাসমান সাগর পাড়ের দেশটিতে। পরিসংখ্যান বলছে ১৯৫৫ সালেও দেশটিতে গড়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করতো মাত্র একজন। জন্মলগ্ন থেকেই দেশটির অধিকাংশ মানুষের বসবাস শহর অঞ্চলে, ফলে হাজার হাজার কিলোমিটার জুড়ে কেবল মরুভূমি আর ফাঁকা জায়গা।

এই ফাঁকা দিগন্তকে পূর্ণতা দিতেই আবির্ভাব হয় একজন ডন ব্র্যাডম্যানের। যার অসাধারণ কীর্তি দেশটির প্রতিটি কানায় কানায়তো পূর্ণতা এনে দিয়েছেই সাথে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে তাকে। শুধু ক্রিকেট নয়, সবধরনের খেলাধুলা মিলিয়েও ইতিহাসে অন্য একটি জায়গা দখল করে রেখেছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।

স্কুল জীবনে গণিত বিষয়টাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন, ভালোবেসে ফেলেন ক্রিকেটকেও। গণিত দিয়ে তাকে বিশ্ব মনে রাখবে এমন কিছু হয়তো করতে পারেননি কিন্তু ব্যাট হাতে যা করেছেন তা তার আগে, তার সময়কার কিংবা এত বছর পরেও কোন ব্যাটসম্যান করতে পারেনি। বলা হয়ে থাকে রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্য, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে অবিশ্বাস্য অনেক রেকর্ডই ভেঙেছে।

কিন্তু ডন ব্র্যাডম্যানের খেলা ছাড়ার ৭০ বছরের বেশি সময় পরও টেস্ট ক্রিকেটে ৯৯.৯৪ গড়ের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। একটু জোর দিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষকরাতো বলেই দিয়েছেন এই রেকর্ড কখনোই অতীত হবেনা।

গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের তালিকা করার সময়ে সবার উপরেই রাখা হয় কিংবদন্তী ব্যাটসম্যানের। ক্যারিবিয়ান ইতিহাসবিদ রবার্ট জেমস যেমনটা বলেছেন, ‘ডন ব্র্যাডম্যানের জীবনী লিখবে কে? তাকে অবশ্যই এতটাই দক্ষ হতে হবে যেন সে একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসই লিখবে।’ টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অবসর গ্রহণের প্রায় ৫০ বছর পর ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড তাকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত অস্ট্রেলীয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

কাগজে কলমে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার (এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে ৮ বছর ছিলেন ক্রিকেটের বাইরে)। খেলেছেন মাত্র ৫২ টেস্ট, ব্যাট হাতে নেমেছেন ৮০ বার। কিন্তু এই ৮০ ইনিংসেই কালজয়ী এক মহাকাব্য লিখে ফেলেন। ৯৯.৯৪ গড়ে রান করেছেন ৬৯৯৬! ২৯ সেঞ্চুরির বিপরীতে হাঁফ সেঞ্চুরি ১৩ টি। ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে মাত্র ৪ রান করতে পারলেই টেস্ট গড়টা তিন অঙ্ক নিয়েই শেষ করতে পারতেন। কিন্তু কেনিংটন ওভালে প্রতিপক্ষ লেগ স্পিনার উইলিয়ামস হলিসের গুগলি বুঝতে না পেরে ফিরেছেন খালি হাতে।

ফলে টেস্ট গড়টা ১০০ রেখে শেষ করতে পারেননি ব্র্যাডম্যান। ৪ রান করলে স্পর্শ করতে পারতেন ৭ হাজার রানের মাইলফলকও। যা হতে পারতো দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ড, যদিও দ্রুততম দুই থেকে ছয় হাজার রানের রেকর্ড এখনো তারই আছে। তার চেয়ে কম টেস্ট (৫১) খেলে এখনো ২৯ সেঞ্চুরির দেখা পায়নি কোন ব্যাটসম্যান। ব্র্যাডম্যানের পর প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৯ সেঞ্চুরি করতে সুনীল গাভাস্কারের খেলতে হয়েছিল ৯৫ টেস্ট।

এরপর গাভাস্কার সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিলেও ব্র্যাডম্যানের কীর্তি কমেনি একটুও। ৩০ তম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর গাভাস্কার বলেছেন, ‘এটা শুধুই একটা অর্জন, কোন রেকর্ড নয়। রেকর্ড তখনই ভাঙবে যখন ৫০ টেস্টে কেউ ৩০ সেঞ্চুরি করবে।’ সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার যুগ শেষ হয়ে ভিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথদের যুগও চলছে।

কিন্তু ব্র্যাডম্যান আছেন চির অম্লান হয়েই, প্রতি ১.৭৯ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই কিংবদন্তীর আশেপাশেও নেই কেউ। সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা স্বদেশী ম্যাথু হেইডেন গড়ে প্রতি ৩.৪৩ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার ১২ ডাবল সেঞ্চুরি এসেছে প্রতি ৬.৬৭ ইনিংস পরপর যেখানে কাছাকাছি থাকা প্রায় সবারই প্রতিটি ডাবল সেঞ্চুরির জন্য খেলতে হয়েছে ২০ বা তার বেশি ইনিংস।

প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারও শেষ করেছেন প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই গড়ে। ৩৩৮ ইনিংসে ৯৫.১৪ গড়ে রান করেছেন ২৮০৬৭, সেঞ্চুরি সংখ্যা ১১৭। এখানেও সেঞ্চুরি চাইতে ফিফটির সংখ্যা কম, ৬৯ টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড়ধারীর সাথে তার পার্থক্য ২৩.৫! যা স্পষ্ট করে শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই তার কীর্তি নিয়ে লিখতে গেলে শেষ হবে ডজনে ডজনে কলমের কালি। বরং পরিসংখ্যানের বাইরের ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে কিছু জানা যাক।

১৯৪৯ সালে নাইটহুড উপাধি পেয়ে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান হয়েছেন। ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এই সম্মান পেয়েছেন ১৯০৮ সালের ২৭ আগস্ট নিউ সাউথ ওয়েলসের কোওটামুন্ড্রার বাউরালে জন্মগ্রহণ করা ব্র্যাডম্যান। ১৯৪৮ সালে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে কাজ করেছেন বোর্ড প্রধান, নির্বাচকের ভূমিকাতে। লেখালেখিতেও কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। তার ৯৯.৯৪ গড়কে আলাদা মাত্রা দিতে অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত প্রদেশ এবং প্রদেশের রাজধানীতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটবোর্ডের যে অফিস আছে সব অফিসের পোস্টঅফিস নাম্বার ৯৯৯৪ করা হয়।

১৯৭১-৭২ মৌসুমে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের হয়ে অস্ট্রেলিয়া খেলতে যান দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ইংলিশ ব্যাটসম্যান টনি গ্রেইগ ও দক্ষিণ আফ্রিকান প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটার হিলটন অ্যাক্যারম্যান। অ্যাডিলেড বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান ছিপছিপে গড়নের এক ব্যক্তি। তাদের আলাপ আলোচনায় উঠে আসছিল ক্রিকেটীয় নানা বিষয়। এতক্ষণে নিজেদের সাথে থাকা জিনিসপত্র লোকটির হাতে তুলে দিলেন গ্রেইগ-অ্যাক্যারম্যান, যেন এটিই তার কাজ।

ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দুজনে স্বাগত জানানো ব্যক্তিটিকে নিয়ে কফি শপে বসেন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ক্রিকেটীয় আলোচনা যেন আরও জমে উঠেছে। এক পর্যায়ে টনি গ্রেইগ লোকটিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আচ্ছা আপনি কি এখানকার কোন ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে জড়িত?’ লোকটি জবাবে বলল ‘সামান্য আকারে কিছু করছি।’

খানিক বাদেই তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার স্যার গ্যারি সোবার্স। সোবার্স গ্রেইগ- অ্যাক্যারম্যানের সাথে সৌজন্যতা শেষে তাদের স্বাগত জানানো লোকটির দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘স্যার ডোনাল্ড (ব্র্যাডম্যান), শুভ সকাল।’ তাৎক্ষনিক তাজ্জব বনে যান গ্রেইগ ও অ্যাক্যারম্যান।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাইক কাওয়ার্ডের ‘দ্য চ্যাপেল ইয়ারসঃ ক্রিকেট ইন দ্য সেভেন্টিস’ বইয়ে গ্রেইগ বলেন, ‘আমরা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতাম না। আর অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের টিভি ছিলনা, কিংবা ব্র্যাডম্যানের কোন ছবি। তাই নিজেদের ঠিক দোষও দিতে পারছিনা। ব্র্যাডম্যান আমাকে কখনোই এটি ভুলতে দেয়না। এটা আমাকে একজন মহান ব্যক্তির সাথে একটি বিশেষ ছোট সম্পর্ক দিয়েছে, যা মজার ছিল।’

দীর্ঘ ২৭ বছর কারা জীবন কাটিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। যার মধ্যে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সময়টা কেটেছে রোবেন দ্বীপে। তার মুক্তির জন্য কমনওয়েলথের দূত হিসেবে কাজ করছিলেন তখনকার অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ফ্রেজার। ১৯৮৬ সালে ম্যান্ডেলার সাথে দেখা করতে গেলে ফ্রেজারকে ম্যান্ডেলা জিজ্ঞেস করেন, ‘ফ্রেজার, ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান কি এখনো বেঁচে আছেন?’

এর বছর সাতেক পর ফ্রেজারের সাথে আবারও দেখা হয় ম্যান্ডেলার। ততদিনে কারা জীবনের অবসান ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের। ফ্রেজার তাকে ব্র্যাডম্যানের স্বাক্ষর করা একটি ব্যাটও উপহার দেন। যেখানে লেখা ছিল, “নেলসন ম্যান্ডেলার দুর্দান্ত অসমাপ্ত ইনিংসের স্বীকৃতিস্বরূপ।
– ডন ব্র্যাডম্যান”

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান থাকাকালীন ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ব র্ণ বা দী আচরণের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দল না পাঠানোয় বিশেষভাবে সমাদৃত হন ডন ব্র্যাডম্যান। ধারণা করা হয় বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করে যাওয়া ম্যান্ডেলাকে ঘটনাটি আলাদা করে নাড়া দেয়।

মানুষ হিসেবে ব্র্যাডম্যানের সাদাসিদে জীবনযাপন ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের ছাপ এতক্ষণে হয়তো আঁচ করতে পারছেন। তার দেওয়া একটি বক্তব্য আরও গভীরে গিয়ে ভাবতে শেখাবে যে কাউকে। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমাকে মাঠের বাইরেও ক্রিকেটার হতে শিখিয়েছেন। ব্যাপারটি অনেকটা এরকম যে আপনি জিতেছেন কীনা তার চাইতে বড় আপনি খেলেছেন কীনা?’

ডন বলেছিলেন,‘আমার কোন সন্দেহ নেই যে ক্রিকেট কোন ব্যক্তির মধ্যে অন্য যে কোন খেলাধুলার চেয়ে সঠিক বিষয়গুলো বেশি তুলে ধরে। যদি চরিত্র ঠিক থাকে তবে অন্য কোন সুপারিশের প্রয়োজন নেই। কারণ চরিত্র নিশ্চিতভাবেই একজন নাগরিকের সেরা সম্পদ।’

কবিতার প্রতি ভীষণ আসক্ত ব্র্যাডম্যান বলেই গিয়েছেন, ‘কবিতা পাঠ আর ক্রিকেট খেলা এই হল আমার জীবন।’ কবিতার পাশাপাশি খেলোয়াড়ি জীবনেই ১৯৩০ সালে “এভরি ডে ইজ আ রেইনবো ডে ফর মি” নামে একটি গান কম্পোজ করে রেকর্ড করেছিলেন। ‘অ্যান ওল্ড ফ্যাশনড লকেট’ ও ‘আওয়ার বাংলো অব ড্রিমস’ নামে গান দুটোতে আবার বাজিয়েছেন পিয়ানোও।

ক্রিকেটে ব্র্যাডম্যান কতটা প্রভাব ফেলেছেন তা তুলে ধরতে গিয়ে ইংলিশ উপস্থাপক জন আরলট বলেন, ‘ব্র্যাডম্যান ও ক্রিকেট দুটোকেই ভালোবাসে এমন লোকের চাইতে ক্রিকেট নয় শুধু ব্র্যাডম্যানকেই ভালোবাসে এমন লোকের সংখ্যাই বেশি। ১৯৮৭ সালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে সম্মান জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সঙ্গীত শিল্পী পল কেলি রেকর্ড করেন ‘আওয়ার ব্র্যাডম্যান’ গানটি। যা প্রকাশিত হয় পরের বছর।

শেষ করার আগে গানপ্রিয় ডনকে নিয়ে লেখা গানের দুটি কলি তুলে ধরতে চাই।যদিও কখনোই শুধু এক গানের দ্বারাই ব্র‍্যাডম্যানকে তুলে ধরা যাবে না।

‘He was more than just a batsman
He was something like a tide
More than just one man
He could take on any side

He was longer than a memory
And bigger than a town.’

সবশেষে আবার আরেকটা প্রশ্ন করতে চাই ক্রিকেটপ্রেমীদের। ব্র‍্যাডম্যান কি আসলেই কয়েক শব্দে সীমাবদ্ধ থাকার মতো চরিত্র?

লেখক পরিচিতি

Alien.............

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link