জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না মুম্বাইয়ের সামনে। এমন ম্যাচে হায়দ্রাবাদের মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও ভিভ্রান্ত শর্মার ব্যাটিংয়ে বড় লক্ষ্যই পায় মুম্বাই। তবে ক্যামেরন গ্রিনের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতকে আট উইকেটের সহজ জয় পায় মুম্বাই।
১২ বল আগে জয় নিশ্চিত করে রান রেটের হিসেবেও নিজেদের খানিকটা এগিয়েই রাখলো রোহিত শর্মার দল। এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে ঢুকলো আইপিএলের সফলতম দলটি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ভিভ্রান্ত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ১৪০ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত পায় হায়দ্রাবাদ। ১৪ তম ওভারে আকাশ মাধওয়ালের বলে আউট হবার আগে ৪৭ বলে ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ভিভ্রান্ত। তাঁর ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও নয়টি চারের মার।
অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলা মায়াঙ্ক আগারওয়াল চার ছক্কা ও আট চারে করেন ৮৩ রান। ইশান কিষাণের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে আকাশ মাধওয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি৷ এরপর আর কোনো ব্যাটারই শেষের দিকে ইনিংসের গতি বাড়াতে না পারলে পাঁচ উইকেটে ২০০ রানে শেষ হয় হায়দ্রাবাদের ইনিংস।
২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইশান কিষানের উইকেট হারায় মুম্বাই। ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হবার আগে ১২ বলে ১৪ রান করেব ইশান। এরপরেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ক্যামেরন গ্রিনের জুটিতে জয়ে দিকে এগোতে থাকে মুম্বাই। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাতে অধিনায়ক হয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে থাকেন রোহিত।
রোহিত আর গ্রিনের ১২৮ রানের জুটিতেই জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে মুম্বাই। ৩৭ বলে এক ছক্কা ও আট চারে ৫৬ রান করেন রোহিত। রোহিত যখন মায়ান্ক ডাগরের শিকার হয়ে দলীয় ১৪৮ রানে ফিরে যান তখন প্রায় জয়ের পথেই আছে মুম্বাই।
অন্যপ্রান্তে হায়দ্রাবাদ বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ক্যামেরন গ্রিন। মাত্র ৪৭ বলে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রিন। অন্যদিকে সুরিয়াকুমার যাদব ১৬ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকলে ১২ বল হাতে রেখেই আট উইকেটের জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে মুম্বাই। এখনো ভালোভাবেই টিকে আছে তাদের প্লে অফের আশা। অন্যদিকে, ১৪ ম্যাচ শেষে আট পয়েন্টে টেবিলের তলানিতেই রইলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।