শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ কোথায় হবে? আদৌ কি হবে? এমন সব প্রশ্নে ঘোর অনিশ্চয়তায় আসন্ন এশিয়া কাপ আয়োজনের ভাগ্য। পাকিস্তানের প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড’ মডেলে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এখনও বিপরীতমুখী অবস্থানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দফায় দফার বৈঠকের পরও এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে চলমান অস্থিরতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান কি? বিসিবি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে আপত্তি নেই বাংলাদেশের। তবে পাকিস্তানের হঠাৎ ‘হাইব্রিড’ মডেলে আবার বেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। যদিও এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে বিসিবি সব সিদ্ধান্তই ছেড়ে দিচ্ছে এসিসির উপরে।
আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি’র অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ নিয়ে এখন পর্যন্ত এসিসির কাছ থেকে কোনো অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে এসিসি যা সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই আমরা মেনে নিব। এশিয়া কাপ দুবাইয়ে হলে, সব দল খেললে আমাদেরও আপত্তি নেই। আমাদের তো খেলতে হবেই।’
এশিয়া কাপ দুবাইয়ে হলে ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্বকাপের সামনে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেল কিনা? এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘কিছুটা তো ঝুঁকি থাকছেই। যেটা আমরা আগেও বলেছি, এত গরমের মধ্যে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেলা খুবই কষ্টসাধ্য। যেমন গতবার আমরা ওখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি। তখন রান ৯ টার আগে আমরা প্র্যাকটিসই করতে পারতাম না। যেহেতু আমরা আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ফোকাসড, তাই আমাদের কেয়ারফুল থাকতে হবে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা সেখানে খেলতে চাচ্ছিলাম না। যদি অন্য কোথাও হয়, আমাদের জন্য ভাল হবে।’
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি আরো যুক্ত করে বলেন, ‘আমাদের তো শিডিউল সব ঠিক করাই আছে। যদি ভেন্যুর ব্যাপারে জানতাম তাহলে আরো ভাল হতো। এমনিতেও আমাদের আগস্টের দিকে স্কিল ট্রেনিং, কন্ডিশনিং করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটা ছক করে রেখেছি এ নিয়ে। যদিও বিশ্বকাপের সূচি না পাওয়ায় এখনো কিছু সমস্যা আছে। আমরা জানিনা, আমাদের খেলা কোথায় হবে? সাউথে নাকি নর্থে? ওদের কিন্তু আবহাওয়ার ভিন্নতা আছে। তাই এই ব্যাপারগুলা আগে থেকেই জানলে ভাল হতো আমাদের জন্য। তবে যেটাই হোক, আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই রাখতে হবে।’