২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যান গুনাথিলাকা। মূলপর্ব শুরুর আগেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আসর থেকে ছিটকে যান তিনি। কিন্তু তাকে দেশে না পাঠিয়ে দলের সাথে রেখে দেয় শ্রীলঙ্কা টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ অভিযান শেষে শ্রীলঙ্কা যেদিন দেশে ফিরবে, ওইদিনই সিডনিতে টিম হোটেল থেকে গুনাথিলাকাকে গ্রেফতার করা হয়। ২৯ বছর বয়সী এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আটকের পর জামিনে মুক্তি পান তিনি এবং পরে জামিনের শর্তও শিথিল করা হয়।
তবে সেই কাণ্ডে আবারো বিড়ম্বনায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানু্ষ্কা গুনাথিলাকার। অস্ট্রেলিয়ান আদালতে ধর্ষণ কাণ্ডে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে শ্রীলঙ্কান এই ক্রিকেটারকে। সিডনির একটি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি জানিয়ে আবদেন করেছেন গুনাথিলাকা।
গত বছরই বিশ্বকাপ চলাকালে ২৯ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় গুনাথিলাকার। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় দুই জনের। এক সন্ধ্যায় সেই নারীর আমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে যান গুনাথিলাকা।সেখানেই তাকে যৌন হেনস্থা করেন বলে গুনাথিলাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সেই নারী।
গুনাথিলাকার বিরুদ্ধে সম্মতি ছাড়া যৌন মিলনের অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণসহ মোট চারটি অভিযোগ করা হয়েছে লঙ্কান এই তারকার বিরুদ্ধে। যার ফলে আটক করা হয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারকে।
যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত দানুশকা গুনাথিলাকার সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সব ধরনের ক্রিকেট থেকেও তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এসএলসি।