পাকিস্তান, অতীত থেকে বর্তমান পেস বোলার তৈরির কারখানা। জাতীয় কিংবা ঘরোয়া, গতির জাদুতে অল্প দিনেই গল্পের নায়ক হয়ে ওঠেন দেশটির বোলাররা। দলটি মেজর কোন ট্রফি জিতলেই, বড় অবদান থাকে পেস বিভাগের। আসন্ন বিশ্বকাপে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফরা হতে পারেন পাকিস্তানবাসীর মুখের হাসির কারণ।
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি নেই খুব বেশি সময়। এ সময়ে নিজেদের মত করে স্কোয়াড তৈরি করেন অনেকেই। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ ছয় জন পেস বোলারকে দেখছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে।
- শাহিন আফ্রিদি
পাকিস্তান পেস বিভাগে নেতার আসনে শাহিন আফ্রিদি। এই বাঁ-হাতি যে কোন ব্যাটারের কাছে কঠিন অধ্যায়। গতির সাথে বাড়তি সুইং তার শক্তির জায়গা। পাকিস্তান দলে ২০১৮ সালে হয়েছিল অভিষেক। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৩৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৭০ উইকেট।
- নাসিম শাহ্
ডান হাতি এই পেসারের বয়স মাত্র ২০। ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তান টেস্ট দলে। এরপর ২০২২ সালে সুযোগ হয় ওয়ানডে দলে। অল্প সময়ে নিজেকে প্রমাণ করে নিজের জায়গা করেছেন পাকাপোক্ত। ৮ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। এরমধ্যে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন দুই বার।
- হারিস রউফ
পাকিস্তানের হয়ে ডেথ ওভারে রান কম দেওয়ার কাজটি করছেন হারিস রউফ। ম্যাচে মাঝের সময়েও তিনি অধিনায়কের আস্থা। পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২২ ওয়ানডে, নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।
- মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র
পাকিস্তান পেস ইউনিটে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম (জুনিয়র)। ২০২২ সালে অভিষেক হয়েছে ২১ বছর বয়সী এই পেসারের। পাকিস্তানের হয়ে ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২৪ উইকেট।
- ইহসানুল্লাহ
গতি আর উচ্চতা দিয়ে নিজের জানান দিয়েছেন ইহসানুল্লাহ। ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চির এই বোলার ইতমধ্যে বল করেছেন ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে। গেল এপ্রিলে অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলে।
- জামান খান
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক হয়েছে জামান খানের। ওয়ানডে দলে অভিষেক না হলেও মোহাম্মদ ইউসুফের ভাবনায় বিশ্বকাপ দলে থাকছেন এই পেসার। ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করার মত রয়েছে বোলিং দক্ষতা।
পাকিস্তানের পেস ইউনিটের সমৃদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ দলের জন্য। তবে বয়স আর অভিজ্ঞতায় বাকিদের তুলনায় রয়েছে পিছিয়ে। যা স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হতে পারে দলের জন্য। অতীত বলছে তেমনটিই। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ম্যাথু ওয়েড’র কাছে ধরাশয়ী হয়েছিলেন তরুণ আফ্রিদি।