আফগানদের আনকোড়া স্পিন ইউনিট

বেশ একটা আনকোড়া দল নিয়েই এবার বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছে আফগানিস্তান দল। দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র রশিদ খানকে বিশ্রামে রেখেই পুরো দল হাজির টাইগারদের ডেরায়।

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে প্রথম দিনের অনুশীলনের শুরুতেই খানিকটা গা গরম করেছে আফগানরা। এরপর খেলোয়াড়রা বিভক্ত হয়ে চলে যায় নেট অনুশীলন।

মিরপুর একাডেমি মাঠে পরপর তিনটি নেটে অনুশীলনে মশগুল গোটা দল। একেবারে ডানের নেটে বল হাতে হাজির আফগান স্পিনাররা। পুরো দুনিয়া ব্যাপী আফগান স্পিনারদের একটা সুনাম রয়েছে।

মূলত রশিদ খানের হাত ধরেই সেই সুনাম ছড়িয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। যেকোন ব্যাটিং লাইনআপকে ভরকে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ আফগান স্পিনাররা।

অন্যদিকে বাংলাদেশের মাটিতে স্পিন ধরে ভাল। তাইতো টাইগারদের খানিকটা দুশ্চিন্তার কারণ ছিল রশিদ খানরা। তবে স্বস্তির বিষয়, প্রথম সারির স্পিনাররা নেই আফগান শিবিরে।

টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তানের পদচারণা খুব বেশি দিনের নয়। তবুও বেশ নড়বড়ে অভিজ্ঞতাই সঙ্গী জহির খান, আমির হামজা ও নবাগত ইজহারুলহক নাভিদদের।

নাভিদের কথাই ধরা যাক। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে তিনি এসেছেন জাতীয় দলে। মাত্র ২০ এর কোটা ছুঁইছুঁই বয়স তার। এরই মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগের হাতছানি।

প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন আটটি উইকেট। যদিও ইতোমধ্যে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বিগ ব্যাশের মত টুর্নামেন্টে ইতোমধ্যেই খেলে ফেলেছেন তিনি।

অন্যদিকে জহির খান ও আমির হামজা দুইজনই তিনটি করে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। স্পিন বোলিং আক্রমণের অভিজ্ঞতার ঝুলিটা এতটুকুই। এর মধ্যে আমির হামজার সফলতার পরিমাণটাই বেশি।

তিন ম্যাচের প্রতিটি ইনিংসেই বল করেছেন তিনি। মোট ১৬ খানা উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। এর মধ্যে দুইটি ফাইফারও ছিল তার দখলে।

বা-হাতি রিস্ট স্পিনার জহির খান অবশ্য এদিক থেকে পিছিয়ে আছে বেশ। চার ইনিংসে বল করে উইকেট নিয়েছেন সাতটি। বাংলাদেশের জন্যে ঠিকঠাক ভয়টা ধরাতে পারবে নাকি আফগান স্পিনাররা, সে সংশয় জেগে ওঠা স্বাভাবিক।

তবে সমস্যাটা ঠিক অন্য জায়গায়। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে লেগ স্পিন বা রিস্ট স্পিনের বিপক্ষে দূর্বলতা রয়েছে। যা আবার দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। সেদিক থেকে অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা স্পিনাররাও হতে পারে ভয়ের কারণ। তাছাড়া খেলাটাও মিরপুরে।

সেই বিষয়টি নিশ্চয়ই মাথায় রয়েছে টাইগার কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের। তাইতো তিনি শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সাথে আলাপ করতে দেখায় যায়। যেন উইকেট ঠিক কেমন ব্যবহার করবে সেটাই জেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা। অন্তত তার শিষ্যদের তো প্রস্তুত করা চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link