তামিম-তাসকিনকে ঘিরে সংশয়

প্রায় চার বছর বাদে আফগানিস্তানকে সাদা পোশাকে আতিথিয়েতা দিচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ বারের স্মৃতি মোটেই সুখকর নয়। স্মৃতি হাতরে দেখলেই সেই দু:খস্মৃতি ভেসে ওঠে বারেবার। সেই সমস্যার সমাধান তো চাই। আফগানদের বিপক্ষে জেতা চাই আসন্ন টেস্ট ম্যাচ। তবে শঙ্কার বেড়াজালে আটকে আছে টেস্ট দল।

সবচেয়ে বড় শঙ্কা অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল খান। পুরনো পিঠের ইনজুরি তার আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বেশ অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতি তামিমের জন্য। সেই পরিস্থিতি নিয়ে এখনও খোলাসা হয়নি কিছুই। প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও রয়েছেন খানিকটা ধোঁয়াশায়।

ম্যাচের আগের দিন হওয়া সংবাদ সম্মেলনে হাতুরু তামিম সম্পর্কে বলেন, ‘সে আজকে অনুশীলন করবে। আমরা দেখব সে কেমন অনুভব করে। আগের দিন তার খানিকটা অস্বস্তি ছিল যখন সে ফিল্ডিং ও ব্যাটিং করছিল। তাই আজকের অনুশীলনের পর আমরা তার ইনজুরি মূল্যায়ন করব।’

তাই তো এখন অবধি আন্দাজ করা যাচ্ছে না যে ঠিক কেমন হবে টেস্টের দিন সকালে বাংলাদেশের একাদশ। অন্যদিকে, সদ্যই ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ। তিনিও ছিলেন পর্যবেক্ষণে। অনুশীলনে নিজের ছন্দ ফিরে পেতে কাজ করে গেছেন তাসকিন। তবে এখনও পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

তাসকিন সম্পর্কে হাতুরু বলেন, ‘তাসকিন রিহ্যাব চলাকালীন সময়ে অনুশীলনে দারুণ করেছে। শারীরিকভাবে সে সেরা অবস্থানেই রয়েছে। এমনকি সে তৈরি ম্যাচ খেলার জন্য। আমরা যদি সিদ্ধান্ত নেই তাকে খেলানোর, তাহলে নিশ্চয়ই সে খেলবে। তবে বোলিং ওয়ার্কলোড একটা চিন্তার বিষয়।’

তাসকিন আহমেদ এই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার। ইনজুরি তাঁকে বারবার পিছিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া সামনেই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। এমন একটা সময়ে নিশ্চয়ই দলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

কেননা বাংলাদেশের সাদা বলের পেস আক্রমণের অন্যতম পথিকৃৎ তাসকিন। তাকে রেখে দল সাজানোটা একটু চাপের কারণ হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্যে। ঠিক সে কারণেই তাসকিনকে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচের একাদশে দেখতে না পারা সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

অন্যদিকে, মিরপুরের উইকেট আভাস দিচ্ছে পেস স্বর্গ হবার। এমন এক কন্ডিশনে তাসকিন নিঃসন্দেহে চাইবেন নিজের সামর্থ্যের একটা প্রমাণ রাখতে। তবে বড় লক্ষ্যকে সামনে রেখে, ঝুঁকি হয়ত নিতে চাইবেন না কেউই।

সার্বিক এই পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে সেই চিত্র খানিকটা অস্পষ্ট। তবে ১৪ জুনের সকালের সূর্যই হয়ত কাটিয়ে দেবে সকল অস্পষ্টতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link