বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলতে এসে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ভারতকে। শেষ দিনে ২৮০ রানের অসম্ভব সমীকরণকে শেষ পর্যন্ত আর সম্ভবপর করে উঠতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। উল্টো প্রথম সেশনে ৫৫ রান তুলতেই শেষ ৭ উইকেট হারায় রোহিত শর্মার দল। আর এতেই ২০৯ রানের পরাজয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
ভারতের এমন একপেশে পরাজয়ে টপ অর্ডার ব্যাটারদেরই দায় দেখছেন সুনীল গাভাস্কার থেকে সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীও। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি অবশ্য মনে করেন, প্রত্যাশার অসম চাপেই ওভাল টেস্টে ভারতের এই দলটার অসহায় সমর্পণ ঘটেছে।
সম্প্রতি স্টার স্পোর্টসের এক আলাপচারিতামূলক অনুষ্ঠানে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা অবশ্যই শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ২৮০ রান অনেক কঠিন, যখন মাত্র ৩ জন ব্যাটার অবশিষ্ট রয়েছেন – কোহলি, রাহানে, জাদেজা। আর টেস্ট ক্রিকেটের পঞ্চম দিনে মোটেই উইকেটের আচরণ স্বাভাবিক থাকে না। ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে তো পেসাররা আরো পেস পান। সম্ভবত এ কারণেই গত ১০০ বছরে এমন সমীকরণে ওভালে কেউ ম্যাচ জিততে পারেনি।’
তবে শেষ দিনে ন্যূনতম লড়াইটাও করতে পারেনি ভারত। লাঞ্চের আগে মাত্র ২৪ ওভারেই শেষ ৭ উইকেট হারায় ভারত। অজি পেসারদের সামনে এ দিন রীতিমত নাকানি চুবানি খেয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। শেষ দিনে ভারতীয়দের সামনে সুযোগ ছিল ক্ষীণ। কিন্তু ব্যাটারদের কাছ থেকে ন্যূনতম লড়াইয়ের ছাপ দেখতে না পাওয়ায় আক্ষেপ ঝরেছে সৌরভ গাঙ্গুলির কণ্ঠে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের অবশ্যই আরো ভাল কিছু করার সুযোগ ছিল। আমি আর হরভজন সিং এ নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের সাথেও কথা বলেছি। আসলে ক্রিকেট খেলা, জয়, পরাজয়ের বাইরেও কিছু জিজ্ঞাসা নিজেকেও করতে হয়।’
ভারতের হয়ে ওভালের ফাইনালে আজিঙ্কা রাহানে আর শার্দুল ঠাকুর ছাড়া ফিফটি আসেনি আর কারও ব্যাট থেকে। সৌরভ গাঙ্গুলিও এ আলাপচারিতায় উঠিয়ে আনেন ব্যাটারদের ব্যর্থতার এই দিকটি। তিনি বলেন, ‘রাহানে আর শার্দুল ছাড়া সেভাবে কেউ রানই করতে পারেনি। টপ অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে কেউই সফল হতে পারেননি। এই সমস্যা কিন্তু আজকের নয়। শেষ ৪/৫ বছর ধরে ২৬ থেকে ২৮ গড়ে উঠানামা করা ব্যাটারদেরও আমরা ফাইনালে দেখছি। দলে আপনি যত বড় নামই হউন না কেন, বড় টুর্নামেন্ট জিততে হলে, রান করতে হবে। যেটা ভারত দলগত ভাবে করে দেখাতে পারেনি।’