সকালের সূর্য যে সবসময় পুরো দিনের পূর্বাভাস দেয় না সেটার উদাহরণ হয়েই থাকলো বাংলাদেশ এ বনাম আফগানিস্তান এ দলের ম্যাচটি। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বাংলাদেশ।
শুরুটা এলেমেলো, মাঝে দুর্দান্ত আর শেষটা তৃপ্তিতে ভরা – ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে এটাই বাংলাদেশ এ দলের ব্যাটিং হাইলাইটস। শেষপর্যন্ত মাহমুদুল হাসান জয়ের শতক আর জাকির, মেহেদীদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৩০৮ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে দলটি।
জিতলেই নক আউট পর্বে জায়গা মিলবে, এমন সমীকরণ সামনে রেখে বাংলাদেশ এ দল মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান এ দলের বিপক্ষে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অবশ্য আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি টপ অর্ডার; ইন ফর্ম ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন দ্রুতই। দুই চারের সাহায্যে নয় বলে নয় রান করেন তিনি। তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানও স্থায়ী হতে পারেননি, অধিনায়ক আউট হন মাত্র চার রানের মাথায়।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ বাইশ গজে সেট হয়েছেন ঠিকই, তবে বড় করতে পারেন নি ইনিংস। সালিম শাফির বলে রিয়াজ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তাঁর ১৯ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই মেকশিফট মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জাকির হাসান এবং মাহমুদুল জয়। দুজনের ১১৭ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
৭২ বলে ৬২ করে জাকির হাসান ফিরলে ভাঙে জয়-জাকির পার্টনারশিপ। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন টেস্ট ওপেনার জয়। কিন্তু, হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে আউট হন সৌম্য।
৪২ বলে ৪৮ করে আউট হন সৌম্য। দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি আকবর আলীও। অন্যপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি, তবে পরের বলেই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান সালিম শাফি।
ঠিক যেসময় রানের গতি বাড়ানোর কথা, সেসময় টানা উইকেট হারানোয় কিছুটা থমকে যায় স্কোরবোর্ড। কিন্তু হাল ছাড়েননি অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান; ডানহাতি এই অফ স্পিনার আরো একবার তাঁর ব্যাটিং ভেলকি দেখান। ছয়টি চার আর এক ছয়ের সাহায্যে মাত্র ১৯ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
আর সঙ্গী রাকিবুল হাসান করেন ১২ বলে ১৫ রান; দুজনের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩০০ রানের গণ্ডি পেরোয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
আধুনিক ক্রিকেটে এখন ৩০০ রান হরহামেশাই হয়ে থাকে; তাই এমন সংগ্রহে সন্তুষ্টির ঢেকুর তোলার চেয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার দিকেই বেশি নজর দিতে হবে বাংলাদেশ এ দলের বোলারদের। দলকে জয় এনে দিতে তাই বড় দায়িত্ব এখন তানজিম হাসান সাকিব, রিপন মণ্ডলদের কাঁধে।